সূত্রের খবর, দক্ষিণ দমদমের একটি পুজো কমিটির কালীপুজোর ঠাকুর বিসর্জন ছিল গতকাল বুধবার রাতে। অভিযোগ সেখান থেকে ফেরার সময় ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতার ঘনিষ্ঠ ফেরার পর পৌরপিতা ঘনিষ্ঠ সুমন ব্যানার্জি ও সুশান্ত-সহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রঞ্জিত কর্মকার নামে ওই ব্যক্তি। বিসর্জন দিয়ে বেদিয়া পাড়ার তারকনাথ কলোনিতে ফেরার পর পৌরপিতা ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন রঞ্জিত কর্মকারের গায়ে পেট্রোল ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘রক্তে পা লাল হয়ে যায়’, শ্যুটিং করতে গিয়ে আহত বনি! এখন কেমন আছেন অভিনেতা? কীভাবে চোট পেলেন নায়ক?
আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রঞ্জিত কর্মকারকে। এরপরেই তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এই মুহূর্তে ফরেন্সিক আধিকারিক ও পুলিশ গিয়েছে আহত ব্যক্তির জবানবন্দি সংগ্রহ করতে। শরীরের ৩০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ। পশ্চাৎ ভাগের নিম্নাংশ পুড়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। চিকিৎসকরা কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন আহত যুবককে। বেদিয়াপাড়া ঘটনা নিয়ে অবশেষে তৎপর পুলিশ তিন অভিযুক্তের খোঁজে বেদিয়া পাড়া দমদম-সহ একাধিক এলাকায় তল্লাশি চালায়। এমনকি কলোনি এলাকায় ও পুলিশ গিয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর মৃন্ময় দাস। তিনি বলেন, ‘‘এরা একসঙ্গে সবাই পুজো করেছে। রাতে ভাসান দিয়ে ফেরার কারও বাইকের তেল শেষ হয়ে যায়। এক বাইক থেকে আরেক বাইকে তেল ভরতে গিয়ে তেল ছিটকে গায়ে পড়ে যায়। সবাই মদ্যপ ছিল। সিগারেট খাচ্ছিল। সিগারেট থেকেই আগুন লেগে ধরে যেতে পারে। উনার পিঠটা পুড়ে যায়। এতে রাজনীতির কোনও রং নেই। ওর শ্বশুর তো আমার সঙ্গেই থাকে।’’