নিয়োগ দুর্নীতি, গরুপাচার, কয়লাপাচার কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতাদের তদন্ত দ্রুত করার দাবিতে পথে নামেন বাম কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি যারা এখন অধরা, তাদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে যারা জড়িত, প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে এই মিছিল। এদিন মিছিলে ছাত্র-যুব সংগঠন, সিপিএম ও বামফ্রন্টের একাধিক সংগঠন অংশ নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০ হাজার টাকা দিচ্ছে মোদি সরকার! ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দারুণ সুখবর! শেষ তারিখ ৩১ শে অক্টোবর
এদিন সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "কজন জেলে যাবে কজন বাইরে থাকবে বলতে পারছি না। আগে জানতাম শিক্ষামন্ত্রীর এমন অধঃপতন হয়েছে। কিন্তু কালিঘাট বাদ দিয়ে হবে না। এখানে ধরা পড়লে বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। আবার আসছে।" তিনি বলেন, "আমাদের দাবি, লুঠের টাকা উদ্ধার করতে হবে। লড়াইটা লড়তে হবে। বিজেপিকে বিচ্ছিন্ন করব। আর এখানে তো পার্থক্য করা যায় না। তৃণমূলে সবাই চোর নয়। নেতারা চোর। সাধারণ যারা তাদের বলবেন না তাঁরাই একদিন সঙ্গে থাকবে।"
এরপরেই মহম্মদ সেলিম পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তিনি বলেন, "বাংলার পুলিশ উলঙ্গ হয়ে গিয়েছে। ক্লাস টেনের দুজন ছাত্র অপহরণ হল। কোন এমএলএ কোন এমপি বলেছে পুলিশের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। বসিরহাটে লাস পাওয়া গেল। সিএম ঢং করে দেখান বিডিও আইসির সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আসলে শুধু অনুব্রতর সঙ্গে যোগাযোগ। যতক্ষণ না ১৬ আানা উদ্ধার হচ্ছে ছাড়ব না। দশবছর তৃণমূলের চোর জোচ্চোর তন্ত্র সব জায়গায় দুষিত করেছে। দুর্নীতি করতে দুষ্কৃতি লাগে। যারা ওই খুন করেছে।কোনওটাতেই বিজেপি তৃণমূলের চাইতে কম না। তৃণমূল বিজেপির চাইতে কম না।"
"আমরা এক চোখা নই আমরা একরোখা। আমরা বলেছিলাম আসব। পুলিশের কত লাঠি জলকামান আছে। আমরা অভিযান করবো। চাকরি প্রার্থীরা যখন এখানে এসেছে এই দালাল পুলিশরা লাঠি চালিয়েছে। তাই পুলিশকে বলেছি চোর ধরো জেল ভরো। তৃণমূলের নেতারাই মমতার কথা শুনছে না৷ আপনারা কেন শুনছেন? পুলিশ ডাহা ফেল। মাস্টারমশাইরা ভালো করে না পড়ালে আলাদা টিউশন দিতে হয়। তেমনি পুলিশ থাকতে ইডি সিবিআই এসেছে। এই এজেন্সি বিজেপি পাঠায়নি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে। তবে আমরা বলেছি, গতি বাড়াও। raid নয় red দিয়ে হবে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেলে কেউ সাধু হয় না।"