সিইএসসি-র ইতিহাসে সর্বকালীন, সর্বাধিক চাহিদা তৈরি হয়েছিল সোমবার ৩:৪৫ মিনিটে। ২৩৬৬ মেগাওয়াট চাহিদা ছিল, সিইএসসি সূত্রে জানানো হয়েছে৷ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থায় দৈনিক ৮০০০ মেগা ওয়াট চাহিদা রয়েছে। পয়লা বৈশাখ শনিবার সর্বাধিক চাহিদা ছিল ৮৩৫০ মেগাওয়াট।রবিবার ছিল ৮২০০ মেগাওয়াট। গতকাল ছিল ৮১৭৫ মেগাওয়াট। এই সময়ে গত বারের সর্বাধিক চাহিদা ছিল ৭৪০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ ১০০০ মেগাওয়াট চাহিদা বেড়েছে।
advertisement
পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, শিলিগুড়ি, হাওড়ার মতো জেলায় চাহিদা বেশি রয়েছে।অন্যদিকে গত, সোমবার ১৭ এপ্রিল যোধপুর পার্ক,হরিদেবপুর,বেলঘড়িয়া এবং দক্ষিণেশ্বরে কিছু কিছু গ্রাহকদের ওভারলোডিংয়ের ফলে ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়া ও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।
এই সমস্যার জন্য মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে সিইএসসি-র উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও বিদ্যুৎ দফতরের সচিব শান্তনু বসু। বৈঠকে সিইএসসি কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু নির্দেশ দেন মাননীয় মন্ত্রী। সেগুলি হল পর্যাপ্ত ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা রাখা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডি জি সেটের ব্যবস্থা রাখা এবং সর্বত্র ২৪x৭ বিদ্যুৎকর্মী রাখার বন্দোবস্ত করা।
একইসঙ্গে রাজ্য জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে ১৭ এপ্রিল সোমবার থেকে বিদ্যুৎ ভবনে চালু হয়েছে ডব্লিউবিএসইডিসিএল (WBSEDCL) -এর ২৪x৭ কন্ট্রোল রুম।যার নম্বরগুলো হল ৮৯০০৭৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৪।