বৃহস্পতিবার সেই দাবি মানল বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা। তাঁরা জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকেই মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরে এত জনের মৃত্যুর জন্য মঙ্গলবারই সিইএসসি-কে দায়ী করে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই মৃত্যুর দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে। এখনই তারা জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের নামাক।” এর পর তিনি বেসরকারি ওই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে তোপ দেগে বলেন, “এখানে ব্যবসা করছে। আর পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের (মডার্নাইজ়েশন) কাজ করছে রাজস্থানে। আর এখানে আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।” সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিইএসসি-র কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েন্কার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চেতলা অগ্রণীর পুজো প্যান্ডেলে আগুন, বন্ধ করে দেওয়া হল মণ্ডপ! ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন
এছাড়াও, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কলকাতায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় সিইএসসি-র কাছে রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা নিয়ে ওই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা পুরসভাকেও। এর পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে অবস্থান জানাবে রাজ্য। আগামী ৭ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।