৩১ মার্চ শেষ হচ্ছে চলতি অর্থবর্ষ তার আগে ডিসেম্বরে যদি টাকা দেওয়া হয়, তাহলে সেই টাকা অফ ব্যবহৃত থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার সন্ধ্যায় রাজ্যের ঘাড়ে চাপাবে। এটাই চালাকি।এদিকে আগামী ১৯শে ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "একশো দিনের কাজ প্রকল্পে যারা প্রকৃত কাজ করেছেন, তারা যাতে তাদের মজুরি থেকে বঞ্চিত না হন সেই জন্যই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দরবার করব আমরা। তবে দুর্নীতির বিষয়টিও আমরা তুলে ধরব।"
advertisement
আরও পড়ুন: থমকে গেল সব ট্রেন, বর্ধমান সহ গোটা অঞ্চলে সাত সকালেই বিপত্তি! কী এমন ঘটল?
বিতর্কের সূত্রপাত রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের টেলিফোন নিয়ে। বিতর্ক তৈরি হয়েছে কে কাকে ফোন করেছিলেন তাই নিয়ে। শাসক দল তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের মন্ত্রীকে ফোন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বকেয়া টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আর্থিক উল্টো কথা বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সূত্র থেকে। কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, শীঘ্রই টাকা দেওয়ার আশ্বাস তিনি দেননি। শুধু তাই নয়, রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে তিনি নিজে থেকে ফোন করেননি। বরং পঞ্চায়েত মন্ত্রী তাকে চারবার ফোন করেছিলেন। যার জবাবে তিনি সৌজন্যের খাতিরে একবার ফোন করেছিলেন।
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সূত্র আরও জানাচ্ছে, রাজ্যের বকে ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা এখনই পাবে না রাজ্য। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কিছু টাকা বরাদ্দ করতে পারে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: 'টাকা আদায় করতেই গভীর রাতে এই ঘটনা', রাশিদের পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
এদিকে, আজ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে রাজ্য বিজেপি'র সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "কে আগে আর কে পরে ফোন করেছিলেন সেটা বড় কথা নয়। এটা তো সত্যি পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী ফোন করেছিলেন ? এইটুকুই তো যথেষ্ট।"