হতাহত না হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। হাসপাতালগুলিকে যে কোনও ধরনের বিপদ থেকে বাঁচাতে এবার উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি এবার রোগীর সুরক্ষায় হাসপাতালে "ফায়ার সেফটি কমিটি" গঠনের নির্দেশ দিল রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জানা গিয়েছে, এই কমিটিতে চার জন করে সদস্য থাকবেন। একজন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি, পূর্ত দফতরের সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের একজন প্রতিনিধি, দমকল বিভাগের একজন প্রতিনিধি এবং প্রতিটি হাসপাতালের নোডাল অফিসাররা থাকবেন এই কমিটিতে।
advertisement
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কে উল্টে গেল ট্রাক্টর, তিন পাল্টি পিকআপ ভ্যানে! মৃত ১
এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই সমস্ত হাসপাতালগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি ১৫ দিন অন্তর হাসপাতাল চত্বরে এবং বিভিন্ন বিভাগ গুলিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নজরদারি চালাবে এই কমিটি। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সংযোগে যে সমস্ত মেশিন চলছে সেই দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শহর এবং জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে কারা থাকবেন তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহরে হুক্কা বার এখনও চলছে? ৫০টির বেশি জায়গা চিহ্নিত করে হানা দিতে আসছে পুরসভা
বলা হয়েছে, ডিবি বক্স, আর্থিং সিস্টেম, মেইন সুইচ থেকে শুরু করে ফায়ার অ্যালার্ম, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, জরুরি ভিত্তিতে বাইরে যাওয়ার রাস্তা, এসি, আইসিইউ, সিসি ইউ এবং বাকি জরুরিভিত্তিক চিকিৎসা পরিষেবা, এক্স রে মেশিন সমস্ত খতিয়ে দেখবে এই কমিটির সদস্যরা।এই কমিটির তরফে যদি নজরে আসে, হাসপাতালে কোথাও কোন সমস্যা রয়েছে যা থেকে বড় অগ্নিকাণ্ড করতে পারে, সে কথা উচ্চ প্রতিপক্ষকে জানানো হবে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হাসপাতাল জুড়ে যে সমস্ত মাইকিং ব্যবস্থা রয়েছে সেটা যেন সব সময় চালু থাকে সেই বিষয়েও কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করবে এই ফায়ার সেফটি কমিটি।