ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী আচরণ বিধি উঠে যাওয়ার বিষয়বস্তু। অর্থাৎ গতকাল সন্ধের পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের অধীনে চলে এসেছে। সেক্ষেত্রে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করতে হলে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে সিআরপিএফ ও বিএসএফকে। আর তার জন্যই বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই বৈঠক হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: টিভিতে সিরিয়াল দেখতে ভালবাসে কুকুর! অবাক হচ্ছেন? কুকুরদের পছন্দের তালিকা জানলে হাঁ হয়ে যাবেন
মূলত হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও রাজ্যে ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী কোন কোন জেলায় কত সংখ্যক মোতায়েন করা হবে, কীভাবে মোতায়ন করা হবে তা নিয়ে মূলত এদিনের এই বৈঠক বলে নবান্ন সূত্রে খবর। নবান্ন সূত্রেও জানা গিয়েছে, মূলত স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে বিশেষভাবে নজর দেয়, তা নিয়ে এই দিনের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত সমন্বয়সাধন যাতে জেলাগুলিতে বাহিনী মোতায়নের ক্ষেত্রে করা হয় তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: কলা কিন্তু সবার খাওয়া উচিত নয়! সর্বনাশ হতে পারে, কারণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে
সেক্ষেত্রে নির্বাচন পরবর্তী অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ে রেখেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয় সেই বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা যায়। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের কয়েকটি বুথে ফের নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বুথগুলিতে বাহিনী মোতায়েন নিয়েও এদিনের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত বিএসএফের তরফে হাইকোর্টে অভিযোগ জানানো হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তাদেরকে দেওয়া হয়নি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তারা একাধিকবার স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চাইলেও তাদেরকে দেওয়া হয়নি। তবে যে বুথগুলিতে রিপোল হয়েছিল সেই বুথগুলিতে পরবর্তী ক্ষেত্রে অবশ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও বিএসএফ যৌথভাবে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি বা দুটি বুথ থাকলে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় পরবর্তী ক্ষেত্রে গণনা কেন্দ্রগুলিতেও এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে গোটা রাজ্য জুড়ে কিভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের পরিকল্পনা হবে কী ভাবছে রাজ্য তা নিয়ে এদিন সিআরপিএফের ডিজি এবং বিএসএফের এডিজির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
