গত ১৪ এপ্রিল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই৷ অভিযোগ, সিবিআই তল্লাশি চলাকালীনই নিজের দুটি মোবাইল ফোন বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক৷ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই তৃণমূল বিধায়ক এমন কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের৷ বহু কাঠখড় পুড়িয়ে সেই ফোন উদ্ধার করে সিবিআই৷ এর পর সেই ফোন থেকে তথ্য উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার কাছে পাঠানো হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: কিল-চড়-লাথি-ঘুষি! অভিষেক চলে যেতেই সিতাইয়ে সভামঞ্চে তুমুল বিশৃঙ্খলা
এ দিন আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী দাবি করেন, বিধায়কের একটি ফোন থেকে ইতিমধ্যে তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ যদিও সেই ফোনের বহু তথ্য প্রমাণই ডিলিট করে দওয়া হয়েছে৷ তার পরেও ফোন থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় একশোটি অডিও ফাইল রয়েছে৷ সেই অডিও ক্লিপগুলিতে পাওয়া কণ্ঠস্বর জীবনকৃষ্ণেরই কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতেই তৃণমূল বিধায়কের ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট করানোর অনুমতি চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তাদের দাবি, জীবনকৃষ্ণের ফোনে এমন কিছু তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ সিবিআই আদালতে জানায়, বিধায়কের দ্বিতীয় ফোন থেকেও তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে৷
আরও পড়ুন: উত্তাল কালিয়াগঞ্জ! থানায় আগুন বিক্ষোভকারীদের, পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ
যদিও জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী দাবি করেন, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি৷ তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক৷ একান্তই জামিন না দেওয়া হলেও জীবনকৃষ্ণকে যাতে আর সিবিআই হেফাজতে না পাঠিয়ে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়, সেই আবেদনও জানান জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী৷
শেষ পর্যন্ত দু' পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জীবনকৃষ্ণ সাহাকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক৷ একই সঙ্গে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টের অনুমতি দিয়ে বিচারক জানান, সিবিআই হেফাজতেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে৷ তবে স্বাধীন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। কোনও ভাবে অভিযুক্তের উপরে কোনও চাপ তৈরি করা যাবে না৷