কুন্তলের অভিযোগ, তাপস মণ্ডল এবং এই গোপাল দলপতি চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। তাঁর দাবি, ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া টাকার একটা বিরাট অংশ নিজের কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টয়ে ট্রান্সফার করে নিয়েছিলেন এই গোপাল। গোপাল দলপতি যে টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন, সেই টাকা মুম্বাইয়ে তাঁর আত্মীয়ের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টয়ে পাঠানো হয়েছিল। গোপাল দলপতিকে এর আগে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সেই সময় তিহার জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। এক বছর আগে জামিন পান। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও তাঁকে ইডি তলব করে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আপনজন' হারা বর্তমান SSC! কোথায় তাঁরা, খোজ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু
জি নেট চিটফান্ড কাণ্ডে ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি দমদম বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় গোপাল দলপতিকে। সেই সময় গুয়াহাটি পালানোর চেষ্টায় ছিলেন তিনি। গোপালের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী-ও। এর পরে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ২১ জানুয়ারি তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর নতুন করে উঠে আসে এই গোপাল দলপতির নাম। কুন্তলের দাবি, তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতি পরিকল্পনা করে তাঁকে ফাঁসিয়েছেন। তাঁর দাবি, বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের কাছ থেকে তোলা যাবতীয় টাকা তিনি দিয়েছিলেন গোপালকে। ওদিকে তাপস মণ্ডল জানান, গোপাল দলপতিকে তিনি আগে থেকেই চিনতেন। গোপালের সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় করিয়ে দেন তাপসই। তাঁর দাবি, এর পর গোপাল দলপতির মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা থেকে চাকরির নামে টাকা তোলা শুরু করেন কুন্তল।
আরও পড়ুন: আইফেল টাওয়ারের চেয়েও উঁচু! মেঘের সমুদ্রে ডুবে যাওয়া রেলব্রিজ! ভারতের কোথায়?
তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, কুন্তল ও তাপস দুজনেই গোপাল দলপতিকে ব্যবহার করেছেন। গোপালের চিটফান্ডের মাধ্যমে তাঁরা কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করেছিলেন একসময়।
এছাড়া, কুন্তলকে জেরা করেও একাধিক এজেন্টের নাম জানতে পেরেছে সিবিআই। সৌম্য শুভ্র (লোকসভার প্রাক্তন সদস্যের ঘনিষ্ঠ এই সৌম্য), গোপাল সামন্ত সহ একাধিক এজেন্টের কাছ থেকে গোপাল-কুন্তল কোটি কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ।
ARPITA HAZRA