এদিকে, আর জি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে ক্রমশ চড়ছে আন্দোলনের সুর। এই পরিস্থিতিতে আজ সুপ্রিম কোর্টে ধর্ষণ-খুন মামলার শুনানি হল। একই সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ডাক্তারদের কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: ‘মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফিরুন, নাহলে…’ জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
advertisement
প্রসঙ্গত, গত ২২ অগাস্ট আর জি কর-মামলায় রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশকে তুলোধোনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। FIR দায়েরের আগে কী করে ময়নাতদন্ত হল? সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়, সন্ধে সাড়ে ৬টা-সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ময়নাতদন্ত, এরপর রাত সাড়ে ১১টায় কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হল? অপরাধের জায়গা সুরক্ষিত করতেই বা এত দেরি হল কেন। এতক্ষণ ধরে কী হচ্ছিল? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে টালা থানার ভূমিকাও। বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা মন্তব্য করেন, রাজ্য সরকার যেভাবে এই মামলায় যা করেছে, তা তিনি তাঁর দীর্ঘ ৩০ বছরের কর্মজীবনে কখনও দেখেননি।
আরজি কর হাসপাতালের নন-মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের আচরণ সন্দেহজনক বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি পারদিওয়ালা। টাইমলাইন নিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বলের সাফাই গ্রহণযোগ্য নয় বলে সেদিন জানিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু এদিন সিবিআই-কে আগামী সোমবার ফের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলে সর্বোচ্চ আদালত।