সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন উচ্চপদে নিযুক্ত মহিলা আধিকারিক। আরও একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদিন সকালেই দক্ষিণ-পূর্ব রেলের গার্ডেনরিচের অফিসে তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। অভিযোগ, হাতেনাতে ঘুষ নেওয়ার সময় দুই আধিকারিককে পাকড়াও করা হয়। কতদিন ধরে তাঁরা এই অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
advertisement
অপরদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি জেলে যায় CBI টিম। কাঁকুড়গাছির নিহত BJP কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের মামলায় ধৃত পাঁচজনকে জেরা করতেই প্রেসিডেন্সি জেলে যায় CBI-এর ওই বিশেষ তদন্তকারী দল। এর আগে শিয়ালদা আদালতে এ বিষয়ে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন: মারাত্মক অভিযোগ, একজন নন-যাদবপুরের অধ্যাপকের 'শিকার' বহু ছাত্রী!
আবার, এদিনই ভোট পরবর্তী হিংসা তদন্তে দুবরাজপুর আদালতে যায় সিবিআই-এর অপর একটি দল। বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগদি হত্যা-মামলায় জেল হেফাজতে থাকা তিন অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন তাঁরা। সেই অনুমতি পেয়ে গতকাল তাঁরা সিউড়ি সংশোধনাগারেও গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, মিঠুন বাগদি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত লক্ষ্মী বাগদির নারকো টেস্ট হতে পারে বা অন্য কোনও পদ্ধতিতে পরীক্ষা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। আদালত যেন সেই আবেদন মঞ্জুর করে, সেই আবেদন জানাতে চলেছে সিবিআই।
এদিকে,ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেই গিয়েছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুন-ধর্ষণের মতো অভিযোগের ক্ষেত্রে সিবিআইকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে বাড়ি ভাঙচুর, ঘরছাড়া করা, মারধর করার মতো তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের ক্ষেত্রে সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার আবেদন গৃহীত হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে যেতে পারে বলে আগে থেকেই জল্পনা ছিল। সেই জন্য মূল মামলাকারীর তরফে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখা হয়েছে।