সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআই এডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর বৈঠকে আলোচনা করেন এসপি সিবিআই ইন্সপেক্টর, ডিআইজি সিবিআইয়ের সঙ্গে। বগটুই মামলায় জেলা পুলিশের করা এফআইআরে পরবর্তী আইনত পদক্ষেপ কী হবে, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়। শোনা যাচ্ছে, বুধবার আইনি পদক্ষেপ করতে পারে সিবিআই। জেলা পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে যেখানে ডিআইজি সিবিআই, এসপি সিবিআই-সহ গরু পাচারে দু’জন অফিসার ও অন্যান্য তদন্তকারীদের নাম রয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তী আইনত পদক্ষেপ কি হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: তদন্ত ভার নিল সিআইডি, খুশি লালনের পরিবার! আজ রামপুরহাট যেতে পারেন সিবিআই শীর্ষ কর্তাও
আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় পুরসভার প্রাক্তন মেয়রের ঘর দখল! অভিযোগ কার দিকে
লালনের মৃত্যুর সময় তদন্তকারী অফিসাররা কোর্টে গেলেও বাকি অফিসাররা কোথায় ছিলেন, ও গোটা ঘটনার সময় সিকোয়েন্স কী ছিল, তা নিয়েও গতকাল রাতে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর।বুধবার সকালে এডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর, এসপি সিবিআই রাজীব মিশ্র, ডিআইজি সিবিআই অশ্বিনী সিংভি আসেন সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে বুধবারও চলে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক। সিবিআই সূত্রে খবর, জেলা পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে ভিত্তিতে পরবর্তী লিগ্যাল স্টেপ কী নেওয়া হবে। তা নিয়ে চলে বৈঠক।
অন্যদিকে, বুধবারই রামপুরহাট থেকে কম্পিউটার, সিপিইউ, একাধিক ফাইল ডকুমেন্টস-সহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে আসা হল সিজিও কমপ্লেক্সে। সিবিআই ইতিমধ্যে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি, জেলা পুলিশ যে এফআইআর করেছে, সেখানে ডিআইজি সিবিআই, এসপি সিবিআই, বিলাস মেঘদূত, ভাস্কর মণ্ডল, রাহুল, গরু পাচার মামলায় তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচাৰ্য ও গরু পাচার মামলার অফিসার স্বরূপ দে এবং সিবিআইয়ের অন্যান্য অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। খুন, মারধর, ষড়যন্ত্র, হুমকি-সহ মোট ন’টি ধারায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিআইডি তদন্ত ভার নেয় জেলা পুলিশের থেকে। বুধবার কেস ডায়েরি, নথি, ময়না তদন্ত রিপোর্ট-সহ নথি সংগ্রহ করে সিআইডি রামপুরহাট থানা থেকে। রাতে পৌঁছাবে ফরেন্সিক টিম। বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক ঘটনাস্থলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সিআইডি তদন্ত নেওয়ার পর সিবিআই-এর আইনি পদক্ষেপ এখন কী হয় সেটাই দেখার।
ARPITA HAZRA