তদন্তকারীদের অভিযোগ, গ্রুপ সি পদে নিয়োগে বেনয়িম হওয়ার সঙ্গেও এই প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংহ জড়িত। টাকা সংগ্রহ ও প্রার্থী জোগাড় করার কাজ করত প্রসন্নরা। জেলে জেরায় সন্তুষ্ট না হলে তাদের হেফাজতে নেওয়া হবে বলেও সিবিআই সূত্রের খবর।
advertisement
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তি ও সংস্থার বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত প্রদীপ সিংকে জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্যও মিলেছে। সিবিআইয়ের দাবি, প্রদীপের বস ছিলেন প্রসন্ন রায়। "বসের "কথাতেই সব কাজ করতেন প্রদীপ। প্রদীপের থেকে বাড়ির ঠিকানা পাওয়ার পরে বাড়িতে তল্লাশি করে কিছু নথিও পাওয়া পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তার ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রসন্ন অসহযোগিতা করেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের।
প্রসন্নরা আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে শামিল দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআই সূত্রে খবর, এই অপরাধের সঙ্গে অনেকে যুক্ত। আরও অনেকের নামও তদন্তে উঠে আসতে পারে। চাকরি প্রার্থীদের তালিকা কার নির্দেশে তৈরি হয়েছিল? কে বানাতে বলেছিলেন সেই তালিকা? কত জনের নাম ছিল সেখানে? এসব জানতে প্রসন্নকে দফায় দফায় জেরা করছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে খোঁজ মিলেছে প্রদীপ ও প্রসন্ন গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও জড়িত। সেখানেও তাঁরা মিডলম্যান হিসাবে কাজ করেছিল বলে অভিযোগ। সেই কারণে গ্রুপ সি মামলায় এবার সিবিআই জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। অবশেষে সেই অনুমতি মিলল।
ARPITA HAZRA