অনুব্রতর তরফে কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি। তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে চায় সিবিআই। আদালতে কেষ্ট জানান, 'আমি অসুস্থ, সেই বুঝে বিবেচনা করুন'। আসানসোল আদালতে অনুব্রতকে পেশ করার সময় দলীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম ও বিজেপির দলীয় সমর্থেকরা।
গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে, বৃহস্পতিবার অফিশিয়াল বিবৃতিতে জানিয়ে দেয় সিবিআই। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন কেষ্ট, হয়তো খানিক আঁচ করতে পারছিলেন কী হতে চলেছে! ঘনিষ্ঠরা বলছেন, গতরাতে বোলপুরে নিজের ঘরে বসে কাঁদতেও দেখা যায় দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে।
advertisement
আরও পড়ুন: সেন্ট জেভিয়ার্স কাণ্ডে জনরোষ! উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ
বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই গোয়েন্দারা। ১০-১২টি গাড়ির কনভয় নিয়ে পৌঁছন সিবিআই অফিসাররা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। ১০-১২টি গাড়ির কনভয় নিয়ে পৌঁছন সিবিআই অফিসাররা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গরুপাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে আটক হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর মণ্ডল। এদিন বিকেলে সিবিআই-এর তরফে বিবৃতিতে জানানো হল, গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। মামলার নম্বর RC 0102020A0019, দায়ের হয়েছিল ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। মামলাটি দায়ের হয়েছিল কলকাতার দুর্নীতি দমন শাখায়।
আরও পড়ুন: চারিদিক থেকে চাপ, এবার কয়লা দুর্নীতিতে ৮ আইপিএস-কে তলব ইডির! চাঞ্চল্যকর তথ্য
ইসিএল গেস্ট হাউজে সিবিআই-এর বিশেষ ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল কেষ্টকে। সূত্রের খবর, শাঁখতোরিয়া হাসপাতালের ৩ জন চিকিৎসক পৌঁছেছেন গেস্ট হাউজে। হাসপাতাল থেকে অনুব্রতর জন্য আনা হয় ব্লাড প্রেশার-এর ওষুধ। গেস্ট হাউজেই চলে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির চিকিৎসা। আপৎকালীন প্রয়োজনে প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। গেস্ট হাউজের বাইরে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স। ছিলেন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসাররাও।
গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু মাত্র একবার হাজিরা দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। শারীরিক সমস্যার কারণে ১৪ দিনের জন্য ফের সময় চেয় নেন। কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।