রবীন্দ্র সরোবর লেকে প্রাতঃভ্রমণকারীদের একটা বড় অংশ বলছেন, ‘‘রোয়িং চালু হোক । অমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে পরিবেশের কথা অবশ্যই যেন মাথায় রাখা হয়।’’ যানদূষণ বিশেষজ্ঞ পি কে বোসের কথায়, ‘‘যানবাহন দূষণ নিয়ে আমার দীর্ঘদিনের গবেষণা । রবীন্দ্র সরোবরে ওয়াটার স্পোর্টসে উদ্ধারকারী নৌকো হিসেবে যে জলযান ব্যবহার করা হবে তা যেন পরিবেশবান্ধব ব্যাটারিচালিত বোট হয়। ডিজেল কিম্বা পেট্রোলচালিত রেসকিউ বোট ব্যবহার হলে দূষণ থেকে সম্পূর্ণ রক্ষা পাবে না পরিবেশ।’’
advertisement
আরও পড়ুন : নামী কোম্পানির সসে মারাত্মক ভেজাল, ধ্বংস হচ্ছে শরীর! হতবাক ইবি কর্তারা
আরও পড়ুন : ভবানীপুর খুনে পুলিশের জালে ৩, এখনও অধরা মূল চক্রী
শহরের নামী পরিবেশ দূষণ বিশেষজ্ঞ পি কে বোস এও বলেন, ‘‘মানুষের জীবন যেমন বাঁচানো জরুরি। ঠিক তেমনি পরিবেশ বাঁচানোও একই রকম ভাবে জরুরি।’’ যদিও রোয়িং ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আমরা সব দিক খতিয়ে দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’ পুলিশের তরফে যে চূড়ান্ত গাইডলাইন ক্লাবগুলিকে পাঠানো হয়েছে তাতে হাই স্পিড রেসকিউ বোটে কী কী ব্যবস্থা রাখতে হবে তার নির্দিষ্ট উল্লেখ থাকলেও হাই স্পিড রেসকিউ বোট কীসে পরিচালিত হবে ব্যাটারি নাকি অন্য কোনও জ্বালানির মাধ্যমে, তার কোনও সুনির্দিষ্ট উল্লেখ নেই গাইডলাইনে। আর এখানেই আশঙ্কায় পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে দূষণ বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি রবীন্দ্র সরোবরে নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণকারীরাও বলছেন, ‘‘আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বেশি অশ্বশক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারি চালিত রেসকিউ বোটের ব্যবস্থা করা হলে মানুষের জীবন ও পরিবেশের জীবন দুই-ই বাঁচানো সম্ভব।’’
