শুধু নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ নয়, এই ৫৭৩ জন বেতন বাবদ যে টাকা এতদিন নিয়েছেন, তাও পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ কারণ জনগণের দেওয়া করের টাকাতেই ভুয়ো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া প্রত্যেকের বেতন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি৷ কীভাবে টাকা পুনরুদ্ধার হবে, তা প্রতিটি জেলার স্কুল পরিদর্শকরাই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট৷
advertisement
আরও পড়ুন: চার পুরনিগমের ভোট নিয়ে স্বস্তি, আদালত অবমাননার মামলা খারিজ হাইকোর্টের
মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৯ সালের মে মাসে এসএসসি গ্রুপ ডি-র মেধা তালিকার মেয়াদ শেষ হয়েছে৷ মেয়াদ পেরনোর পরেও রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অসংখ্য নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এই সংক্রান্ত প্রায় এক হাজার অভিযোগ শুধুমাত্র কলকাতা হাইকোর্টেই দায়ের হয়েছে৷
আরও পড়ুন: উৎসশ্রী পোর্টাল বদলি মামলায় নজিরবিহীন নির্দেশ, অনিয়মের রহস্যভেদে CID তদন্তের হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের
এসএসসি-র তরফেই মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়, ২০১৯ সালের মে মাসের পর তারা একজন চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগের জন্যও সুপারিশ করেনি৷
এই হলফনামার উল্লেখ করে এ দিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এসএসসি যেখানে হলফনামায় এই দাবি করছে, সেখানে ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশের অবকাশই থাকে না৷ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যদি কোনও নিয়োগ হয়ে থাকে তাহলে তা বেআইনি৷
ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একটি বিচারবিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল৷ সেই অনুসন্ধান কমিটিকেও ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷