বাদাবনে বাঘের হানা নতুন কিছু নয়। তবে বাঘের বারবার লোকালয়ে চলে আসা এখন রয়্যাল রহস্য। পৃথিবীর বৃহত্তর ব-দ্বীপে বাঘের হানায় মৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা দায়ের করে দক্ষিণবঙ্গ বঙ্গ মৎস্যজীবী সমিতি।
আরও পড়ুন-দিনে ৮ ঘণ্টা ব্যায়াম করেন ৫৩ বছরের এই মহিলা, দেখে মনে হয় বয়স ২৫!
advertisement
মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী অভিষেক সিকদারের আদালতের কাছে যুক্তি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে জীবিকার তাগিদে মাছ, কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহের জন্য জঙ্গলের ভেতরে যেতে হয়। সেখানেই তারা বাঘের হানায় প্রাণ হারান বা আহত হন। ২০১৬ সালের বন্য আইনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই বাঘে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতার বিষয়টি।
উপযুক্ত আর্থিক পরিকল্পনার অভাবে তাই পরিবার গুলি কার্যস্ত বিপর্যস্ত। আবেদনকারীর আবেদন তাই, আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে ওই পরিবারগুলোর জন্য কিছু ব্যবস্থাপনা করে দিক।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, বাঘের হানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে। তবে সুন্দরবন অঞ্চলে বাফার জোন আছে বন আইন অনুযায়ী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় বাফার জোন অতিক্রম করার ফলে তারা বাঘের আক্রমণের কবলে পড়েন। সেক্ষেত্রে সরকার নিরুপায়।
আরও পড়ুন-স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত, হাতেনাতে ধরতে গোয়েন্দাদেরও হার মানালেন স্ত্রী !
সোমবার আদালতের নির্দেশ, ক) বাঘের হানায় কত পরিবার এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, কতজন অক্ষম হয়ে গেছে এবং কত পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত। খ) রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করেছে। কত পরিবারকে করা যায়নি। কেন করা যায়নি। গ) ক্ষতিপূরণ ও এই পরিবারগুলির জীবিকা নিয়ে রাজ্যের কী পরিকল্পনা আছে তা চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।
সম্প্রতি একাধিকবার লোকালয়ে বাঘে ঢুকে পরার ঘটনা দেখা গেছে। বাঘের হানায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্যাকেজ নিয়ে রাজ্য রিপোর্টে কী জানায় এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সুন্দরবনের মানুষ।