উল্লেখ্য, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা'র বিচার্য বিষয় পরিবর্তনের প্রতিবাদে সোচ্চার তৃণমূল সমর্থিত আইনজীবীরা। তাঁদের যুক্তি, ৩ মাসের মধ্যে কীভাবে পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার এজলাস বদল হয়। ১৩ নং আদালতের বিচারপতির বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচের নামে কার্যত একতরফা নির্দেশ দিয়েছেন ওই বিচারপতি। যদিও শুভেন্দু অধিকারী আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, "বিচারপতি মান্থার দেওয়া নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্ট মান্যতা দিয়েছে।"
advertisement
আরও পড়ুন : 'প্রণয়' টানে বাংলাদেশে পাড়ি! ঠিক ১০ মাস পরে যা ঘটল 'নদিয়ার' নাবালিকার জীবনে
কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিক প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মঙ্গলবার বলেন, কোনও আইনজীবী অনুপস্থিত থাকলে আদালত যেন কোনও রায় বা নির্দেশ না দেয়। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীদের কর্মবিরতি'র সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন সিনিয়র আইনজীবী সপ্তাংসু বাসু-সহ বিজেপি ও বাম সমর্থিত আইনজীবীরা। তাদের পাল্টা দাবি, আদালতের প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত বেআইনি। এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি, আমি বার বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তুমুল বাগবিতণ্ডা দুই পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে প্রধান বিচারপতির এজলাসে।
প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব মন্তব্য করেন, আমি ৩ বিচারপতির একটা কমিটি তৈরি করে দিয়েছি। যা বলার ওই কমিটির কাছে বলুন। আপনাদের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে তা বজায় রাখুন। হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণাভ ঘোষ বিরোধিতা করেন দুই এজলাস বয়কটের, বা কর্মবিরতি'র। বিরোধিতা করেন সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিকের প্রস্তাবের। ১০ মিনিট বন্ধ থাকে প্রধান বিচারপতি এজলাসের কাজ। আপাতত শুরু হয়েছে প্রধান বিচারপতি এজলাসের বিচারের কাজ। তুমুল হইচই প্রধান বিচারপতির এজলাসে।