গত ফেব্রুয়ারি মাসে দার্জিলিং পুরসভার নির্বাচন হয়। মোট ৩২টি আসনের মধ্য়ে হামরো পার্টি পায় ১৮টি আসন। অনীত থাপার দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা জয়ী হয় ৮টি আসনে। জিজেএমএম ৩টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয় ২টি করে আসনে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেট মিটতেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, মঙ্গলবার থেকেই শুরু ইন্টারভিউ! জানুন বিস্তারিত...
advertisement
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে হামরো পার্টি বোর্ড গঠন করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে হামরো পার্টি থেকে ৬ জন কাউন্সিলর প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টি সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জন। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা পার্টির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের ২ জন তাদের বাইরে থেকে সমর্থন করবে। ফলে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৬ জন।
আরও পড়ুন: দেবের সুর নরম! তা-ও 'প্রজাপতি'র গা থেকে মুছছে না রাজনীতির রঙ, এবার কটাক্ষ কুণালের
এই সমীকরণে ভরসা করেই দার্জিলিং পুরসভার হামরো পার্টির চেয়ারম্যান রীতেশ পোরতেলের অপসারণ চেয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। ২৮ ডিসেম্বর সেই অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটির দিন ধার্য হয়।
সেই অনাস্থা প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তার স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আবেদন করেন পুরসভার চেয়ারম্যান। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানিয়ে দিলেন, ২৮শে ডিসেম্বরই দার্জিলিং পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাবের বৈঠক সংঘটিত হবে।
গত ২৪ নভেম্বর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে ছয় জন কাউন্সিলর মিটিং ডাকার জন্য নোটিস পাঠায়। ১৫ দিনের মধ্যে মিটিং না হওয়ায় ১৩ ডিসেম্বর ভাইস চেয়ারম্যানকে ফের জানানো হয়। সেটাও না হওয়ায় তিনজন কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য ২৮ ডিসেম্বর মিটিং ডাকে। এর বিরুদ্ধে সার্কিট বেঞ্চে আসেন হামরো পার্টির চেয়ারম্যান। এই পরিস্থিতিতে দার্জিলিং পুরসভা অনীত থাপার দলের হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।