জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে মতুয়াদের করা জনস্বার্থ মামলায় এমনই মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের।
মঙ্গলবার বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ মামলা খারিজের মধ্যে দিয়ে রায় ঘোষণা করে জানায়, “রাজনৈতিক স্বার্থে জনস্বার্থ মামলাকে ব্যবহার করা যাবে না। মামলাকারীদের কেউ কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ফলে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মামলাটি খারিজ করা হল। ওই বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন মেনেই পদক্ষেপ হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি গ্রুপ সি গ্রুপ ডি ‘দাগি’ তালিকা বেরোবে কবে…? সুপ্রিমকোর্টে উত্তর মিলবে ৯ সেপ্টেম্বর
এই মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, “আগে ভুয়ো জাতিগত সার্টিফিকেট বাতিলের জন্য নির্দিষ্ট কোনও আইনি ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ওই তফসিলি সম্প্রদায়ের ১৯৯৪ এবং ১৯৯৫ সালের আইন রয়েছে। ইতিমধ্যে মতুয়া মহাসঙ্ঘ ওই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। ফলে সরকারি সংস্থা বা আধিকারিককে ওই অভিযোগ নিয়ে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই রায় এসডিও বা অন্য কোনও কর্তৃপক্ষকে তদন্তে বাধা হবে না। তারা আইন অনুযায়ী ভুয়ো সার্টিফিকেটের বৈধতা খতিয়ে দেখবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।”
গত ১৫ বছর ধরে অনেক কে বেআইনি ভাবে ভুয়ো তফসিলি জাতি এবং জনজাতির শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ। তাদের বক্তব্য, অন্য সম্প্রদায়কে ভুয়ো এসসি এবং এসটি সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। ওই সব ভুয়ো সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে। বিষয়টি সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক।