কমিশন নথি খুঁজে দেখে কতজনের বেআইনি নিয়োগ তারা খুঁজে পেয়েছে? কমিশন আইনজীবী বলেন, সিবিআই তদন্ত করছে, অনেককে হেফাজতে রেখে তদন্ত চলছে তারা প্রকৃত সংখা জানাতে পারবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, সিবিআই দ্রুত সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট দিক কতজন বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। বিচারপতির সংযোজন, যথাযথ নথি/পরিসংখ্যান পেলেই আমি মেধাবী ওয়েটিং লিস্ট পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ দেব।
advertisement
আরও পড়ুন: বিকল্প উপায়ে আয় বাড়ানোর তোড়জোড়, অভিনব পথ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার!
কমিশনের আইনজীবী পাল্টা বলেন, ''বেআইনি নিয়োগের প্রকৃত সংখা বলা খুব মুশকিল। পর্দার আড়ালে কত বেআইনি নিয়োগ তা তদন্ত না শেষ হলে বলা অসুবিধার। মেধাতালিকা প্রকাশিত, যারা হাইজাম্প করে নিয়োগ পেয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।'' এরপরই কমিশনের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, ''কমিশন কি মনে করে অন্যায় ভাবে নিয়োগ প্রাপকরা জিজ্ঞাসাবাদে টেবিলে বসলেই সব সত্যি বলে দেবে!''
আরও পড়ুন: 'ভারত জোড়ো যাত্রায়' বিটিএস আর্মির সঙ্গে পরিচয় হল রাহুল গান্ধির!দেখুন ভিডিও
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ''১৭ বেআইনি নিয়োগ নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে আদালতের কাছে। এই ১৭ বেআইনি নিয়োগ দিয়েই শুরু হোক। সিবিআই এবং কমিশন, উভয়েই ১৭ বেআইনি নিয়োগের প্রকৃত তথ্য দিক।'' এসএসসি বঞ্চনায় ভুক্তভোগী সমস্ত মেধাবী পরীক্ষার্থীদের, (ওয়েটিং লিস্টে থাকা) নিয়োগ দেওয়ার পথে হাঁটতে চায় হাইকোর্ট। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সিবিআই এবং কমিশনকে।
আদালত জানায়, সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে বেআইনি নিয়োগের সংখ্যা জানাতে হবে। এই সংখ্যা ধরে সমস্ত বেআইনি নিয়োগ বাতিল করবে আদালত। ওই জায়গায় বঞ্চিত মেধাবী ওয়েটিং লিস্টে থাকাদের নিয়োগ দেবে হাইকোর্ট। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগে কাদের কাদের নিয়োগ দিয়েছে সেই সংক্রান্ত তালিকা পেশ করবে শুক্রবারের(২৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যে। এমনই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও ফিরদৌস সামিমও আপাতত তাকিয়ে আছেন শুক্রবারের দিকে।