হাই কোর্টের সেই নির্দেশের পরপরই রাত ২.৫০ মিনিট নাগাদ আচার্য সদনে এসে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, CRPF মোতায়েন করা হয় আচার্য সদনে। সিজ করা হয় অফিস। সেই সময় থেকেই অফিসের বাইরে কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না, কাউকে ভিতরেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পর অবশ্য এসএসসি অফিসের ভেতরে ঢোকা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। গেট টপকে ভেতরে ঢোকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশের পাঁচ নিরাপত্তারক্ষী সেই সময় ভিতরে ছিলেন। অবশেষে গেট খোলা হয়। পুলিশের এক এএসআই বলেন, ''আমাদের বাইরে বেরোতে দিচ্ছে না। খাবার নেই। থানাকে ফোন করেছি। দেখি কী হয়।''
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থকে CBI জেরার মধ্যেই ইস্তফা এসএসসি-র চেয়ারম্যানের! কেন? নতুন দায়িত্বে কে?
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে নিজের চেম্বার থেকেই মামলা শোনেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীরা জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দিয়েছেন। যিনি মঙ্গলবারই রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি 'দুর্নীতিতে' নম্বর জানিয়েছেন। অধ্যাপক মজুমদার ইস্তফা দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মাওবাদী প্রসঙ্গে মারাত্মক অভিযোগ মমতার! মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় স্বস্তি ফিরবে জঙ্গলমহলে?
সেই পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মামলাকারীদের আইনজীবী দাবি করেন, কমিশনের হাতে থাকা হার্ড ডিস্ক-সহ নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করা হোক। পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বা তাঁদের লোকজন নথি নষ্ট করতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনজীবী। সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দেওয়ার পর কারা কারা কমিশনের অফিসে প্রবেশ করেছেন, তা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে খতিয়ে দেখার দাবিও করা হয়। এরপরই একের পর এক নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।