নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে স্কুল চলবে না। যে কোনও দিন ছাত্র মারা যাবে সঙ্গে শিক্ষকরাও। তারপর তদন্ত কমিটি গঠন হবে।
এমনটা চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ ৫০ ছাত্রের স্কুলের ভবিষ্যৎ সঙ্কটে। সংবাদমাধ্যমে দেখে স্কুল বাঁচাতে উদ্যোগ নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুল বাঁচাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বতঃপ্রণোদিত উদ্যোগ। স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করে আদালত। আজ ফের শুনানি দুপুর দুটোর পর।
advertisement
আরও পড়ুন: বিন্দু বিন্দু দিয়ে সিন্ধু গড়ে ফেলল বামেরা, জনসংযোগ কৌটোয় ১ কোটি পার!
হুগলির জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চক খয়রামারি প্রাথমিক স্কুলটি নদীর ধারেই। ফলে স্কুলের পাশের মাটি প্রতিদিন ক্ষয়ে যাচ্ছে। মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্কুলটি। ৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে ওই স্কুলে। এ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুলটির যা অবস্থা ছাত্র এবং শিক্ষকদের জীবন যে কোনও সময় বিপদে পড়তে পারে। আদালত এটা হতে দিতে পারে না।’’
আরও পড়ুন: TMC-র ১০ লক্ষ মানুষের সমাগম দাবি, BJP-র ২০০০! গেরুয়া শিবিরের ভাগ্য নির্ধারণ আজই
বিচারপতি এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানানোর জন্য বুধবার আদালতে তলব করা হয়েছিল হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন এবং জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে। এর পাশাপাশি, ওই বিষয়টি নিয়ে আদালত আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তকে ‘বিশেষ আধিকারিক’ হিসাবে নিয়োগ করেছে। এদিনও সেই বিষয়ে রুদ্রমূর্তি ধারন করেন বিচারপতি।