দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সনৎ কুমার ঘোষ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করার আবেদনে মামলা করেন। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব, পরিবহণ সচিব ও অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে কী পরিকল্পনা করা যায়, সেটি নির্ধারণ করবেন। অভিযোগ, আট মাস কেটে গেলেও সেই নির্দেশ মানা হয়নি। তারপরই এদিন আদালত রুল জারি করে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের নতুন চাপে অনুব্রত মণ্ডল, হাই কোর্টে দায়ের আরও এক মামলা! এবার কী বিষয়?
এর আগেও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অর্থসচিব মনোজ পন্থের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। নবান্নের দুই আমলাকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি ববি শারাফের সিঙ্গল বেঞ্চ। ১৭ মে ফের ওই মামলার শুনানি। ২০১৮ সালের ঘটনা। সে বছর মুকুন্দপুর নোবেল মিশন স্কুলকে সরকারি অনুমোদন দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতে শুনানি চলাকালীন ওই স্কুলটিকে সরকারি তকমা দিতে রাজিও হয়ে যায় সংশ্লিষ্ট দফতর।
আরও পড়ুন: এই কারণগুলির জন্যই কংগ্রেস-প্রশান্ত কিশোর 'বিচ্ছেদ'! কী এমন চেয়েছিলেন এই ভোটকুশলী?
তারপরও মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের বিরুদ্ধে কেন রুল জারি হল? নিয়মমাফিক কোনও স্কুল যখন সরকারি তকমা পায়, সংশ্লিষ্ট স্কুলের যাবতীয় খরচ বহন করতে হয় সেই রাজ্যকেই। ফলে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়াটা নির্ভর করে অর্থসচিবের উপরই। ২০১৮ সালেই নোবেল মিশন স্কুলকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া জন্য ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু তৎকালীন অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সেই অনুমোদন দেননি। বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন পরবর্তী অর্থসচিব মনোজ পন্থও। তাই শুধু রুল জারি করাই নয়, ওই দুই আমলার কাছে ওই বিষয়ে জবাবও চেয়েছে আদালত। ২০১৯ সালে আদালত আবমাননার অভিযোগ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।