১ মাসের মধ্যে পুরো তদন্ত শেষ করতে হবে সিটকে। ফরেন্সিক রিপোর্ট ১৪ দিনের মধ্যে সিটকে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
এদিন বিচারপতি মান্থা বলেন, 'সিট সর্বশ্রেষ্ঠ তদন্ত করবে, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এমন দাবি করে আশ্বস্ত করেছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই তদন্তের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে হাইকোর্ট। তারপর আদালত তদন্ত দেখে হস্তক্ষেপের বিষটি বিবেচনা করবে।'' আনিস খান মৃত্যু মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ এপ্রিল।
advertisement
হাওড়ার আমতায় নিজের বাড়িতে ছাত্রনেতা আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। সেই নিয়ে ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্ট কলকাতা হাই কোর্টে পেশ করার পাশাপাশি তার প্রতিলিপি মৃতের পরিবারের আইনজীবীদেরও দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রনেতা আনিস খানের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের রিপোর্টও ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দরজায় কড়া নাড়ছে 'বিপদ', বড় সিদ্ধান্ত নিলেন অনুব্রত মণ্ডল!
সোমবার রাজ্য পুলিশের হাতেই এই ঘটনার তদন্তভার আপাতত রাখার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন আরও বলেন, আপাতত রাজ্য পুলিশ আনিসের মৃত্যুর তদন্ত করবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ''রাজ্য পুলিশও পৃথিবীর কারও থেকে কম নয়, যদি কেউ তাদের বাধা না দেয়।'' রাজ্য পুলিশের উদ্দেশ্যেও বিচারপতির বার্তা, ''নিজেদের প্রমাণ করার সময় এটা।'' তারাই এই ঘটনার তদন্ত করবে।
আরও পড়ুন: ডিমাপুর থেকে শিলিগুড়ি এলেন ৩ জন, সঙ্গে একটা ব্যাগ! যা মিলল তাতে, তুমুল শোরগোল
তবে, তদন্তকারীদের এক সপ্তাহের মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং কোনওভাবে প্রভাবিত না হয়ে তদন্ত করতেও পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনেই দ্বিতীয়বার আনিস খানের দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। আদালত আগেই জানিয়েছিল, ময়না তদন্তের পর ভিসেরার নমুনা সংরক্ষণ করতে হবে। আর তা হবে কোনও জেলা জজের উপস্থিতিতে। একইসঙ্গে আনিসের যে মোবাইল ফোনটি তাও জেলা জজের তত্ত্বাবধানে সিএফএসএলকে পাঠাতে হবে।