সিবিআই রিপোর্ট দিয়ে আদালতে জানায়, প্রাথমিকের দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা সংক্রান্ত নথি পত্রের বয়স বা নথি কত দিনের পুরনো, তা সিএফএসএল রিপোর্টে স্পষ্ট করা যাচ্ছে না। লিখিত পরীক্ষায় না বসেই প্রাথমিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ২৭৩ দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকার অনেক নথিতেই গড়মিল ধরা পড়েছে। বাড়তি ১ নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বোর্ড সদস্যদের পরস্পর বিরোধী অবস্থান।
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি-তে বেআইনি সমস্ত নিয়োগ বাতিল করে দেব: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
পার্থ দেহরক্ষী পরিজনদের ১০ জনের চাকরি নিয়েও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তদন্তে উঠে এসেছে। সিবিআই তদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিক সন্তোষ প্রকাশ বিচারপতি'র। তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ। ৪ নভেম্বর সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি হাই কোর্টকে জানাতে নির্দেশ। ২০১৬ ও ২০২০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে মেধা তালিকা নম্বর বিভাজন সহ সম্পূর্ণ তথ্য কীভাবে প্রকাশ করা যাবে তা শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জানাতে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলায় ঢুকতেই গাড়ি ধরল তৃণমূল কর্মীরা, যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
প্রাথমিক টেট ২০১৪ নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। ২৭৩ জনের দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় সমস্ত নিয়োগ আগেই বাতিল করে হাই কোর্ট। দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা সংক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যাবতীয় নথি পেশ হয় হাইকোর্টে। দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি CFSL পরীক্ষার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আজ দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকার যাবতীয় নথি'র CFSL রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেঞ্চে পেশ করল সিবিআই।
২৭৩ দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকার নথির বয়স নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যহত। ধোঁয়াশা কাটাতে ব্যর্থ CFSL। ২০১৭ সালের নথি হলে ৫ বছরের পুরোনো নথি। হাই কোর্টের গুঁতোয় তড়িঘড়ি এখনই নথি বানানো হয়েছে কিনা সেটাই জানতে চায় হাইকোর্ট। সিএফএসএল তা পরিস্কার করতে ব্যর্থ। সিবিআই রিপোর্ট পেশের মধ্যে তা স্পষ্ট।
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া নিয়ে বোর্ডের অ্যাড হক কমিটির দুই সদস্য সিস্টার এমিলিয়া এবং দেবজ্যোতি ঘোষের হলফনামা পরস্পর বিরোধী। আদৌ বোর্ডে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত বৈঠক হয়েছিল কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে সিবিআই-এর হয়ে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, সিবিআই রিপোর্টে স্পষ্ট কিছু ইঙ্গিত রয়েছে এই নিয়ে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই রিপোর্টের ওই অংশ পড়তেই ভরা এজলাসে মন্তব্য করেন, 'বিস্ময়কর তথ্য।'