প্রধান শিক্ষকের সাফাই, জিলা স্কুল পরিদর্শকের ল অফিসারের পরামর্শ মতো বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত। ওই শিক্ষককে উত্তর ২৪ পরগনার একটি কলেজে বিএড-এর জন্য ছুটি দেওয়া হয়। দেখা যায় ওই কলেজে বিএড করতে যাননি শিক্ষক। তিনি সবেতন ছুটি উপভোগ করছেন। এই কারণেই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় (Calcutta High Court)।
advertisement
আরও পড়ুন : সাবধান! চিনে নিন এই 'পাঁচ' ফল! রূপে ভুলবেন না, এই ফল খেয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে!
যদিও মামলাকারী শিক্ষক জানান, তিনি অন্য একটি কলেজে বিএড করার সুযোগ পান। সেখানেই বিএড করেন। এক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রধান শিক্ষকের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিচারপতির মন্তব্য, প্রধান শিক্ষক নিজের জমিদারি স্টাইলে বেতন বন্ধ করেছেন। তিনি বলেন, "আপনারও বেতন বন্ধ করে দেব তাহলে বুঝবেন অন্যের বেতন বন্ধের জ্বালা।"
মামলাকারী আরও অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষকের নামে। ব্যাগ ভর্তি বন্দুক প্রসঙ্গ আসে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ হলফনামা আকারে আদালতে জানানোর নির্দেশ বিচারপতির। প্রধান শিক্ষক প্রভাব খাটাতে পারেন তাই প্রধান শিক্ষকের স্কুলে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন বিচারপতি। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিস সুপারকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Judge Abhijit Ganguly) নির্দেশ, অবিলম্বে স্কুলের গেটে দু'জন বন্দুকধারী পুলিস মোতায়েনের। প্রধান শিক্ষক যাতে স্কুলে ঢুকতে না পারেন তা সুনিশ্চিত করবে পুলিশ। যদিও এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, বিভাগীয় তদন্ত না করে শিক্ষকের মাইনে বন্ধ করাটা ভুল।
আরও পড়ুন : ব্লেডের এই নকশার আসল রহস্য জানেন? নেপথ্যের কারণ শুনলে চমকে যাবেন!
আগামী ১০ জুন পর্যন্ত এই প্রধান শিক্ষকের স্কুল চত্বরে প্রবেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশ সুপার স্থানীয় থানাকে বলে স্কুলের গেটে পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৮ জুন। প্রধান শিক্ষকের ভাগ্য ওইদিন নির্ধারিত হয়ে যাবে সম্ভবত।