গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হাওড়ার আমতায় আনিস খানের বাড়িতে অভিযানে যান চার পুলিশকর্মী৷ এদের মধ্যে ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ারও৷ মাঝরাতে আশপাশের বাড়ির ছাদ ঘিরে আনিসকে প্রথমে নজরবন্দি করা হয়। পরে তার বাড়িতে যায় পুলিশ।ওই রাতেই বাড়ির পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় আনিস দেহ।পরিবারের অভিযোগ ছাদ থেকে খুন করে আনিসকে খুন করে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নথির ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ, খতিয়ে দেখা হবে পর্ষদের ঘাটতিও
আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি৷ মৃত্যু রহস্যের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে রাজ্য সরকার৷ যদিও সিট-এর তদন্তে আস্থা না রেখে সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় আনিস খানের পরিবার৷
রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি জানান, তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের পলিগ্রাফ টেস্ট করিয়েছিল সিট৷ পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, আনিসকে খুনের কোনও উদ্দেশ্য ছিল না ঘটনার দিন তাঁর বাড়িতে যাওয়া পুলিশকর্মীদের৷ পাশাপাশি, আনিস খানের বাবাও আদালতে দাঁড়িয়ে স্বীকার করেছিলেন, অভিযোগ পত্রে যা যা লেখা হয়েছে, তার গোটাটা তাঁর বয়ান নয়৷ আদালতে একই সংশয় প্রকাশ করেছিল রাজ্যের আইনজীবীরাও৷ তবে সত্য উদঘাটনে রাজ্য সরকারের নজরদারিতে প্রয়োজনে আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি৷
সাম্প্রতিক কালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে পুরুলিয়ার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় একের পর এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে আনিস মৃত্যু মামলায় আদালতের নির্দেশে বড়সড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার৷
যদিও আদালতের এই নির্দেশে খুশি নয় আনিসের পরিবার৷ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন আনিস খানের বাবা৷