২০১৯ সালে গ্রুপ সি পদে নিয়োগ সুপারিশ পত্র পান অরিন্দম মিত্র। তাঁকে যোগ দিতে বলা হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শ্রীরামপুর(Group C Recruitment) এগ্রিকালচার হাই স্কুলে। করোনা অতিমারীর সময়কালে অরিন্দম বাবু নিয়োগ পত্র পেয়ে স্কুলে যোগাযোগ করলে তাঁকে স্কুল কতৃর্পক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় স্কুল বন্ধ রয়েছে,খোলার পরে যোগাযোগ করতে। এরপর একাধিকবার স্কুলের সাথে,জেলা স্কুল পরিদর্শক, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পর্ষদের কাছে লিখিত আবেদন জানানোর পরেও কোনও সুফল মেলেনি। স্কুল খোলার পর অরিন্দম বাবু স্কুলে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায় গ্রুপ সি পদে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মনোনীত অপর এক প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়ে গেছে। বিষয়টি শিক্ষা দফতরের নজরে আনলেও কোন সুরাহা হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের ওমিক্রন আতঙ্ক! এক সঙ্গে দু'জন আক্রান্তের খোঁজ
গ্রুপ সি (SSC Group C)নিয়োগ তালিকা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে মে, ২০১৯।নিয়ম অনুযায়ী এরপরে কোনও নিয়োগ সুপারিশ করতে পারেনা এসএসসি। প্রাথমিক ভাবে ৩৪৬ মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়োগ গুলি ভুয়ো বলে দাবি মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম বন্দোপাধ্যায়'দের। পূর্ব মেদিনীপুর স্কুলে ভুয়ো নিয়োগ কোনটা সেটাই জানতে চায় অরিন্দম মিত্র। আপাতত মূল মামলায় অরিন্দম মিত্র কে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন ফিরিয়েছে হাইকোর্ট। নিয়োগে কাট আপ মার্কস কী, সেটাই আগে বিস্তারিত আকারে জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাট আপ মার্কস জানা গেলে ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে। অরিন্দম মিত্র আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানালেন, ৬ জানুয়ারি কমিশনের অবস্থান জেনে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবো।
ARNAB HAZRA