তৃণমূল নেতার পেশ করা সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে মামলা খারিজ করে দেন বিচারপতি। উল্টে মামলাকারীকেই ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি।
আরও পড়ুন: 'সিবিআই-এ চাকরি করি, কাউকে ভয় পাই না', বলছেন অনুব্রতকে গ্রেফতার করা সুশান্ত
সম্প্রতি ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে একজোড়া অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কোয়েনা দাস নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ ছিল, পাসপোর্টের নথি অনুযায়ী দেবজ্য়োতি বাবু মাধ্য়মিক পাস করেননি। অথচ তিনি উত্তর চব্বিশ পরগণার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। শুধু তাই নয়, সরকারি বেতন পাওয়া সত্ত্বেও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান হিসেবেও মাসে তিনি ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: 'পি সি সরকার সিনিয়র না জুনিয়র, কার ছোঁয়ায় নম্বর বৃদ্ধি?', প্রশ্ন বিস্মিত বিচারপতির
এই অভিযোগ পেয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে শুক্রবার সশরীরে হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই মতো আদালতে আসেন তৃণমূল নেতা। সঙ্গে আনেন নিজের যাবতীয় নথি।
সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর বোঝা যায়, দেবজ্য়োতি ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দেন বিচারপতি। তিনি জানিয়ে দেন প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার সমস্ত যোগ্য়তা রয়েছে দেবজ্য়োতি ঘোষের।
আদালতকে ভুল তথ্য় দেওয়ার জন্য় মামলাকারী কোয়েনা দাসকেই ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্য়ে এই জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
পরে দেবজ্য়োতি ঘোষ বলেন, 'আমি ২০১০ সালে চাকরি পেয়েছিলাম। ফলে শাসক দলের নেতা হিসেবে প্রভাব খাটানোর প্রশ্ন ওঠে না। এই অভিযোগ করে আমার এবং আমার দলের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।'