হোম /খবর /কলকাতা /
'সিবিআই-এ চাকরি করি, কাউকে ভয় পাই না', বলছেন অনুব্রতকে গ্রেফতার করা সুশান্ত

CBI: 'সিবিআই-এ চাকরি করি, কাউকে ভয় পাই না', বলছেন অনুব্রতকে গ্রেফতার করা সুশান্ত

গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য।

গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য।

সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য অবশ্য় দাবি করছেন, বগটুই হত্য়াকাণ্ডের তদন্তে কখনও যুক্ত ছিলেন না তিনি।

  • Share this:

#কলকাতা: গরু পাচার মামলার তদন্তের দায়িত্বে তিনি। অথচ তাঁর নামই জড়িয়েছে বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্য়মৃত্য়ুর ঘটনায়। সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্য়ুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতে অন্য়ান্য় সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে এফআইআর-এর চার নম্বরে নাম রয়েছে সুশান্ত ভট্টাচার্যের।

সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য অবশ্য় দাবি করছেন, বগটুই হত্য়াকাণ্ডের তদন্তে কখনও যুক্ত ছিলেন না তিনি। বগটুই গ্রামেও যাননি। এমন কি, বগটুই কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের সঙ্গেও তাঁর কখনও কথা হয়নি বলেই দাবি করেছেন সুশান্ত।

আরও পড়ুন: 'শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এখনই এফআইআর নয়', রাজ্যকে জানিয়ে দিল আদালত

লালন শেখের রহস্য় মৃত্য়ুর ঘটনার পর সিবিআই কর্তাদের বিরুদ্ধে বগটুইয়ের বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্য়াম্পের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। এই অবস্থায় তদন্তের কাজে তিনি বীরভূম গেলেও গ্রামবাসীর ক্ষোভ বা রোষের মুখে পড়তে হতে পারে তাঁকে। যদিও গরু পাচার মামলার দায়িত্বে থাকা সুশান্ত ভট্টাচার্য বলছেন, 'আমরা সিবিআই-এ চাকরি করি, কাউকেই ভয় পাই না।'

আরও পড়ুন: আবারও সেই প্রভাবশালী তকমা! মিলল না জামিন, কয়েদখানাতেই বন্দি কেষ্ট

গত অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রথম থেকেই গরু পাচার মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন সুশান্তবাবু। এখনও জামিন পাননি অনুব্রত মণ্ডল। এই অবস্থায় লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনায় দায়ের হওয়া এফআইআর-এ গরু পাচার মামলার দায়িত্বে থাকা সিবিআই কর্তার নাম দেখার পর থেকেই রাজনৈতিক বিতর্কও শুরু হয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে কি না, তা নিয়ে অবশ্য় সরাসরি কোনও জবাব দেননি সিবিআই-এর এই সিনিয়র অফিসার। সুশান্ত ভট্টাচার্যের সংক্ষিপ্ত জবাব, 'এর জবাব সময়ই দেবে।'

লালন শেখের মৃত্য়ুর ঘটনায় পুলিশ এফআইআর দায়ের করার পরই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সেখানেও গরু পাচার মামলার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের নাম এফআইআর-এ থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়। ইতিমধ্য়েই সিআইডি লালন মৃত্য়ু রহস্য়ের তদন্ত শুরু করেছে। কলকাতা হাইকোর্ট অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, সিআইডি তদন্ত চালিয়ে গেলেও আদালতের অনুমতি না নিয়ে কোনও সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না।

Published by:Debamoy Ghosh
First published: