সিবিআই তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে আরজি কর মামলায় নতুন করে তদন্তের আর্জি জানিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার৷ সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির পর আজ সেই মামলারই শুনানি শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে৷ নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী শামিম আহমেদ এবং সুদীপ্ত মৈত্র সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ নেই, তদন্তে অনেক ফাঁকও রয়েছে৷’ সিবিআই-এর পরবর্তী তদন্তে আদালত যাতে নজরদারি চালায়, সেই আর্জিও জানানো হয় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে৷ তদন্ত সঠিক না হলে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ যাতে আদালত দেয়, সেই আর্জিও জানানো হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: সৌরভকে টুকরো টুকরো করে তাঁর টাকাতেই মানালিতে ফুর্তি? মেয়ের ঘৃন্য কীর্তি ফাঁস করলেন মুসকানের বাবা
শুনানি শুরু হতেই সিবিআই-এর আইনজীবীকে মূলত তিনটি প্রশ্ন করেন বিচারপতি ঘোষ৷ তিনি জানতে চান, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে নির্যাতনের ঘটনা ধর্ষণ না কি গণধর্ষণ ছিল৷ মূল অভিযুক্ত একজন না কি একাধিক ব্যক্তি ছিলেন, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি৷ মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের শাস্তি ঘোষণার পর সিবিআই তদন্ত আর কতটা এগিয়েছে, তার সর্বশেষ অগ্রগতি কী সেই প্রশ্নেরও উত্তর চান বিচারপতি ঘোষ৷ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী তদন্ত হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এই প্রশ্নগুলি করার পাশাপাশি মামলার কেস ডায়েরিও তলব করেছে আদালত৷
রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালত পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিলে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই৷ অন্যান্য মামলায় সিবিআই সক্রিয় হলেও আরজি কর মামলায় তদন্তের গতি ধীর কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন কল্যাণ৷ তিনি আরও বলেন, ‘সিবিআইকে ১৫ দিনের সময়সীমা দিয়ে তদন্ত গোটাতে নির্দেশ জারি করুক আদালত। প্রায় ১ বছর তদন্ত করছে সিবিআই, কী পেল তারা? রাজ্যের মানুষ জানতে চায়, দেশ জানতে চায়।’
সিবিআই-এর পক্ষ থেকে এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার৷ তিনি জানান, শুক্রবার আদালতে কেস ডায়েরি পেশ করবে সিবিআই৷ শুক্রবারই বিকেল সাড়ে তিনটের সময় ফের শুনানির জন্য মামলাটি উঠবে হাইকোর্টে৷