আরও পড়ুন: জুমলাবাজি, শকুনি, স্বৈরাচারী...'অসংসদীয় শব্দ' বাছল মোদি সরকার! তুমুল বিতর্ক
সওয়ালে তিনি তুলে ধরেন, সিঙ্গল বেঞ্চ ১৭ জুন ২০২২ কিছু নথি আনার নির্দেশ দেয় পর্ষদকে। নিয়োগ প্রার্থীদের এপ্লিকেশন আনতে বলা হয়, কিন্তু বোর্ড দিতে পারেনি। প্যানেলে ২৭৩ জনকে বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্যানেলে স্বাক্ষর ছিল না। এই সমস্ত নথি জমা দিতে না পারার জন্য কি বোর্ড সভাপতিকে অপসারণ করা যায়? এই সমস্ত নথি চাওয়ার পর সে গুলোকে ফরেনসিকে যে ভাবে পাঠানো হয়েছে তা আইনবিরুদ্ধ। আদালতের উচিত ছিল এই ব্যাপারে বোর্ডকে হলফনামা দিতে বলা। আদালত নথি বাতিল করতে বলার নির্দেশ দিতে পারতো। বোর্ডের কাজে কিছু অনিয়ম হতে পারে, কিন্তু তার মানে বেআইনি কাজ হয়েছে, এটা সিঙ্গেল বেঞ্চ কী ভাবে ধরে নিল। বোর্ড বারবার একক বেঞ্চে বলার চেষ্টা করেছে নিয়োগ পদ্ধতিতে অনিয়ম থাকতে পারে, কিন্তু বেআইনি কিছু ছিল না। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়ালে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চে জানান।
advertisement
আরও পড়ুন: ধুতি দিয়ে বাধা, পুড়ে ছাই গোটা শরীর! পাশে কাগজে লেখা...শিউরে ওঠা ঘটনা রাণীচকে
চাকরি বাতিল হওয়া কেউ-ই মামলায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ভুল তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচার হয়েছে। ২৬৫ জনের চাকরি, এই অনিয়ম শুধরে নেওয়ারও অযোগ্য, এটা কী ভাবে সিঙ্গেল বেঞ্চের মনে হল। প্রাথমিক নিয়োগে অনিয়ম 'ভুল' স্বীকার করে রাজ্যের এজি জানান, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত গত ৪ বছরে কোনও অভিযোগ নেই। শিক্ষার অধিকার আইনে ৬-১৪ বয়সি প্রত্যেক পড়ুয়ার কোয়ালিটি এডুকেশন এখন অধিকার সারা দেশে। একটা অতিরিক্ত প্রাথমিক নিয়োগ প্যানেল হয়েছিলো। এটা ভুল ছিল। এই ২৭৩ নিয়োগ তালিকা ভুল ছিল। শুধু এইটুকুই। যদিও অতিরিক্ত প্যানেল তৈরির অপশন রয়েছে পর্ষদের। এর বাইরে কোনও অনিয়ম নেই। যদি ধরেও নিই এই প্যানেল তৈরি ভুল ছিল। তাহলে এখানে অপরাধ কোথা থেকে এল। 'আনফিট' হলে পর্ষদ সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া যাবে। সিঙ্গেল বেঞ্চের তৈরি এই ক্রাইটেরিয়া কোথায় বর্ণিত আছে। পর্ষদ সভাপতিকে সরাতে পারে পর্ষদ সদস্যরা সিদ্ধান্তের আকারে। সরকার নিয়োগ করে পর্ষদ সভাপতিকে।
এ দিন কেন্দ্রের সহকারী সলিসিটর জেনারেল জানান,"সিবিআই সিট তদন্ত করছে, যুগ্ম অধিকর্তা'র নজরদারিতে।ইতিমধ্যেই জনস্বার্থ মামলায় টেট ২০১৪ নিয়ে একটি নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। জনস্বার্থ মামলা আদালত গ্রহণ করেছে। এই বিষয়টিও আদালত নোট রাখুক।" শুক্রবার ফের মামলার শুনানি।
Arnab Hazra
