সেই বাস স্ট্যান্ড পুরোপুরি সরানোর কাজ শুরু করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সাথে বন্দরের কর্মীদের একাংশের মদতেই যে এই ব্যবসা চলে আসছে তা এক প্রকার স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সব কর্মীদের চিহ্নিত করেই বন্দর এলাকার মধ্যে গজিয়ে ওঠা বাস স্ট্যান্ডের জমি জবরদখল রোধ করতে চাইছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ।কাঁটাপুকুর রোডে, একটা লম্বা অংশ জুড়ে আছে বন্দরের একাধিক ওয়্যারহাউজ। সেখানেই সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক পণ্যবাহী গাড়ি৷
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল-সিপিআইএম সেটিং! বিমান বসুকে হাতিয়ার করে আসরে সুকান্ত মজুমদার
এই স্থানে আসার দুটো উপায় আছে, এক খিদিরপুর দিয়ে ঢুকে জগন্নাথ মন্দির অতিক্রম করলেই বন্দরের গেট বসানো আছে। ওপর একটি রিমাউন্ট রোড স্টেশনের পাশ দিয়ে গেলেই দেখা মিলবে এই রাস্তার। যেখানে কলকাতা বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সি আই এস এফের ক্যাম্প আছে। এই রাস্তার অংশেই একটা বড় জমি ফাঁকা পড়ে আছে। আর সেখানেই গড়ে উঠেছে৷ দূরপাল্লার বেসরকারি বাস স্ট্যান্ড৷ বন্দরের নিরাপত্তা রক্ষীদের সামনেই প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল অবধি দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক বাস৷ বিকেলে বাবুঘাট থেকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার উদ্দেশ্যে একাধিক বাস ছেড়ে যায়। সেই সব বাস সকালে এনে রাখা থাকে এখানে৷
আরও পড়ুন: ঝড় তুলেছে সিবিআই, সাত জায়গায় পরপর হানা! তালিকায় বিধায়ক, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা
রাজ্য পরিবহণ দফতর নিয়ম করেছিল, কোনও বাস বাবুঘাটে দাঁড়াবে না৷ সব বাস সাঁতরাগাছিতে দাঁড়িয়ে থাকবে। কিন্তু সেই নিয়ম কোনও বেসরকারি বাস মানছে না। উল্টে এক শ্রেণির বন্দরের কর্মীদের সহায়তা নিয়েই বন্দরের জমি বেদখল করে বসে আছে। বন্দর চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানিয়েছেন, "এই অভিযোগ সত্য। আমাদের কাছে ছবি-ভিডিও সহ প্রমাণ আছে। আমরা ওই বাস স্ট্যান্ড ওখান থেকে সরিয়ে দেব। একই সাথে যারা যারা এই কাজের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"সূত্রের খবর, বন্দরের এই জমি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করতে পারা যায়। তাতে আর্থিক ভাবে লাভজনক হবে বন্দর। কিন্তু সেই জমি বেদখল করে বাস স্ট্যান্ড হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট।