প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। দিঘা-নন্দকুমার (Digha) ১১৬ বি জাতীয় সড়কের উপরে বাসের সঙ্গে সব্জি বোঝাই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, আহত অন্তত ১৩ জন৷ আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক (Purba Medinipore Bus Accident) বলে জানা গিয়েছে। কলকাতাগামী খেজুরির বোগা রুটের একটি বাস দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সবজির গাড়িকে ধাক্কা মারে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘার পথে ফের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, বাস- মালবাহী গাড়ির সংঘর্ষে মৃত ৩, আহত ১৩
সবজি বোঝাই গাড়িটির চালক ও খালাসি মিলিয়ে আহত ছ' জনের অবস্থা এখনও গুরুতর। বাসের সাতজন যাত্রীও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের বেশ কয়েকজনকে চণ্ডীপুর হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। আটকে পড়েন দিঘা যাওয়ার জন্য বেরোনো বহু পর্যটকও৷
আরও পড়ুন: শান্তিকুঞ্জে নতুন আয়োজন, রঙিন পাঞ্জাবিতে সেজে উঠলেন শুভেন্দু অধিকারী
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেলারকে এড়িয়ে যাওয়ার সময়ই ভয়ংকর দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্যস্ত এই রাস্তার উপরে যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। আর সেই কারণেই দুর্ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, পুলিশের নাকের ডগায় জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকছে গাড়ি। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ কিংবা প্রশাসন, কেউই এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাই দুর্ঘটনাও কমছে না।
কলকাতাতেও বিগত কয়েকদিনে ঘটেছে বেশ কিছু দুর্ঘটনা। ভাইফোঁটার দিনই বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক পড়ুয়ার। এদিনের ঘটনাতেও মারাত্মক বিপদ ঘটে যেতে পারত বলে মনে করছেন অনেকে।