কী এটি? এই ব্যাক্টিরিয়াটা নাকি ‘মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স’। অর্থাৎ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। পাশাপাশি কোনও ওষুধের প্রতিক্রিয়াও হতে দেয় না শরীরে। এই আবহে বুদ্ধবাবুকে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছিল, সেটি নাকি বদল করা হয়েছে। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বুদ্ধবাবুর জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: রক্তপরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি, ডেথ সার্টিফিকেটে অন্য কারণ! বারাসতে চাঞ্চল্যকর কাণ্ড
রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় ফের বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতি জানিয়ে মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করেছে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালটি। জানা গিয়েছে, বুদ্ধবাবুর ‘টাইপ ২ রেসপিরেটরি ফেলিয়োর’ হয়েছে। অর্থাৎ, রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেশি আছে, অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের রক্তে ক্রিয়েটিনের মাত্রা বেশি। যে মাপকাঠি থেকে সংক্রমণের মাত্রা বোঝা যায়, তার থেকে প্রায় ৬০ গুণ বেশি ক্রিয়েটিন তাঁর শরীরে আছে। এই আবহে তাঁর শরীরে সংক্রমণ বাসা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে সরিয়ে আরও বেশি লুটপাট হবে’, তৃণমূলের শোকজ পেয়ে বিস্ফোরক হুমায়ুন কবীর
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিআরপি ৩১৮। সেটাই চিন্তার বিষয়। এছাড়াও যেহেতু তাঁর ডায়াবেটিস আছে, সঙ্গে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স তাই অ্যান্টি বায়োটিক পুরো মাত্রায় দেওয়া যাচ্ছে না! কারণ হাই ডোজ অ্যান্টিবায়োটিক দিলে কিডনির উপর প্রভাব পড়তে পারে। পাশাপশি যেহেতু সিওপিডি আছে, তাতে ভেন্টিলেশনে তাঁর লাং-এর টিসু ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।