এখনো রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে। মাঝেমধ্যে নরম তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ধীরে ধীরে সুস্থ হলেও, এখনও খাবার ভাল করে গিলতে পারছেন না
তিনি। আগামী আরও ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে তাঁকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “আগামী সোমবার আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কবে ছাড়া হবে।”এদিন সন্ধায় সেন্টার লাইন খুলে দেওয়া হবে।
advertisement
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শরীর এখন অনেকটাই দুর্বল রয়েছে। নিজেও খুব বেশি খেতে চাইছেন না। সংক্রমন যাতে না ছড়ায়, তার জন্য কাউকেই ওনার রুমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কেয়ার গিভার পাঠাতে পারি বা ওনার বাড়ির যদি কাউকে সর্বক্ষণের জন্য ওনার সঙ্গে রাখতে চান, তাঁকেও আমরা প্রশিক্ষণ দেব।”
আরও পড়ুন, হাতে আসবে টাকা, ঘরে ফিরবে শান্তি! বিরল যোগে শনির ‘সুনজরে’ তিন রাশি
আরও পড়ুন, এক রাতেই বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার ছবি, মূল্য চুকিয়ে গেল ছোট্ট সৌরনীল
জানা গিয়েছে, চিকিৎসক এবং যাঁরা তাঁকে হাসপাতালে দেখতে আসছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন বুদ্ধবাবু। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বুকের ইউএসজি করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এই মুহূর্তে কোনও আলাদা প্রক্রিয়ার প্রয়োজন নেই। ফিজিওথেরাপি চলছে। বুদ্ধদেবের চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। ওই দলে রয়েছেন চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী (মেডিসিন), সৌতিক পাণ্ডা (ক্রিটিক্যাল কেয়ার), সুস্মিতা দেবনাথ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার), সরোজ মণ্ডল (হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ), অঙ্কন বন্দ্যোপাধ্যায় (ইন্টারনাল মেডিসিন এবং পালমনোলজি), ধ্রুব ভট্টাচার্য (ইন্টারনাল মেডিসিন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার), আশিস পাত্র (অ্যানাস্থেশিয়া), দীপনারায়ণ মুখোপাধ্যায় (ইনফেকশাস ডিজ়িজ স্পেশালিস্ট), সেমন্তী চক্রবর্তী (এন্ডোক্রিনোলজি), সোমনাথ মাইতি (জেনারেল মেডিসিন), সপ্তর্ষি বসু (ফিজিশিয়ান এবং সুপার), দীপনারায়ণ মুখোপাধ্যায় (ইনফেকশাস ডিজ়িজ স্পেশালিস্ট) এবং সেমন্তী চক্রবর্তী (এন্ডোক্রিনোলজি)।