উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে সংঘাতের কারণে প্রাক্তন রাজ্যপালের আমলে উপাচার্যদের সঙ্গে ডাকা বৈঠক সফল হয়নি একবারও। মঙ্গলবার তাই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা দফতর এবং রাজ্যের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের বৈঠকের দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: অভাবনীয়! স্কুল বাঁচাতে নিজেদের বেতন থেকে আংশিক শিক্ষক নিয়োগ দুই শিক্ষকের
advertisement
প্রাথমিক আলাপচারিতা ছাড়াও, রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বিস্তারিত কথাবার্তা হয় এই বৈঠকে। সকাল ১১ টায় শুরু হয়ে প্রায় চার ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। রাজভবনেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন আমন্ত্রিতরা। বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল সহ আমন্ত্রিতরা। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। এমন কি, রাজ্য সরকারের সঙ্গে নতুন রাজ্যপালের সম্পর্ক যে যথেষ্ট ইতিবাচক জায়গায় রয়েছে, তা স্পষ্ট করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, 'এই বৈঠকের নির্যাস হল বিরোধ নয় সমন্বয়।'
আরও পড়ুন: সুজনের বাড়িতে আচমকা কেন লাভলি? এপারের 'কুশল' প্রশ্নে ওপার থেকে এল 'চা'-নিমন্ত্রণ
অতীতের তৈরি বাষ্পকে ভুলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে রাজভবন, বিকাশভবন এবং নবান্ন একযোগে কাজ করবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ সেই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার জন্য উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে উপাচার্যদের বারণ করে দেওয়া হয়েছিল।
উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে সেই সময় প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল আইন না মেনেই উপাচার্যদের সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে ডেকেছেন। তার জেরেই পরবর্তী সময়ে রাজ্য - রাজ্যপাল সংঘাতও চরমে পৌঁছয়। শুধু তাই নয়, রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়েও রাজভবনের সঙ্গে বারে বারে সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর তথা রাজ্য। তবে এবার সেই বৈঠক একেবারে সফলভাবে আয়োজন করায়, রাজ্য রাজ্যপাল সম্পর্কের সমীকরণ কার্যত অনেকটাই ভাল জায়গায় পৌঁছেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
