সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে সরবরাহ করা হবে পোশাক, এমনই জানানো হয়েছে সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে। আগের মতই পড়ুয়ারা পাবে স্কুল ব্যাগ এবং জুতো। প্রত্যেকটি ব্যাগের উপরও থাকবে সরকারি লোগো। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। বিধানসভায় সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ৩০ জুন ২০২১ গুজরাটে ঘোষণা করা হয়, ১৪ লাখ অঙ্গনওয়ারী বাচ্চাদের পোষাক দেওয়া হচ্ছে। খাকি হাফ প্যান্ট, শার্ট ও বেইজ শার্ট পড়ার নির্দেশ দেয়।উত্তরপ্রদেশে আগে থেকেই ছিল খাকি ইউনিফর্ম। ৬ নভেম্বর ২০২১ সালে যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন তারা UP School Dress Yojona ১.৮ কোটি ছাত্র-ছাত্রীকে স্কুল ইউনিফর্ম এর টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেবেন। নতুন ইউনিফর্ম এর রঙ হবে খয়েরি হাফ প্যান্ট, স্কার্ট আর লাল শার্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: গরম থেকে রেহাই দিতে আসছে বৃষ্টি? বাংলার জন্য জরুরি পূর্বাভাস! কতটা বদলাবে পরিস্থিতি?
এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমেও ৬ মার্চ ২০১৯ একটি অর্ডার দেওয়া হয়। সেখানে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির জন্যে গাঢ নীল প্যান্ট, স্কার্ট বা ছাই রঙের শার্ট। অপরদিকে ৬ শ্রেণি থেকে ৮'ম শ্রেণি অবধি গাঢ নীল প্যান্ট, স্কার্ট ও সাদা রঙের শার্টের কথা বলা হয়।ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, আগে পুলিশের লাল পাগড়ি ছিল। গোটা পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে পোষাক বদলের কথা ভাবছে। সেটাই রুপায়ণের কথা ভাবা হচ্ছে। পোশাক বদলে কাজ করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। আশা করব বিরোধীরা এটাকে সাহায্য করবেন।
আরও পড়ুন: দাড়ি রাখেন? মাঝেমধ্যেই চুলকোয়? এটি গুরুতর চর্মরোগের লক্ষণ নয় তো!
গুজরাতে অঙ্গনওয়াড়ীর বাচ্চাদের পোশাক বদল হয়েছে৷ ইউপিতে পোশাক বদল হয়েছে। ফলে আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে চাপিয়ে দিচ্ছি না। আসামেও পোশাক বদল হয়েছে। বিশ্ব বাংলা লোগো রাজনৈতিক দলের লোগো নয়। এটা প্রশাসনিক লোগো। বাংলা আমরা জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে, এটা মনে করে নিজের রাজ্যের মর্যাদা। এটাকে রাজনৈতিক ভাবে দেখবেন না। এটাকে অস্মিতা হিসাবে দেখুন।