গতবছর ও চলতি বছরের শুরুর দিকে এ রাজ্যেও অ্যামিবা আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। সেসময় রাজ্যে ২১ জন অ্যামিবা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। ২১ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৪ জন ভর্তি ছিলেন মল্লিকবাজার INK-তে (ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স কলকাতা)। ভর্তি থাকা ১৪ জনের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়। গতবছর SSKM-এও ভর্তি ছিলেন এক অ্যামিবা আক্রান্ত রোগী। এই অ্যামিবা নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
advertisement
প্রসঙ্গত, দক্ষিণের রাজ্য কেরলে ইতিমধ্যেই আতঙ্কের সঞ্চার করেছে এই রোগ। কেরলে চলতি বছরেই এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ অন্তত ৬৭ জন এই জীবাণুর সংক্রমণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ কেরলের স্বাস্থ্য দফতর গত সোমবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে৷
অ্যামোবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস কী?
অ্যামোবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস হল মস্তিষ্ক কুরে কুরে খায়, এমন একটি জলজ জীবাণুর সংক্রমণ৷ এই ধরনের জীবাণু উষ্ণ, স্থির, পরিশুদ্ধ নয় এবং জলাশয়ের জলে মিশে থাকে৷ নাক দিয়ে তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে৷
এই ধরনের সংক্রমণ অত্যন্ত বিরল কিন্তু খুবই প্রাণঘাতী৷ এই সংক্রমণে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার গোটা বিশ্বেই যথেষ্ট বেশি৷ শরীরে প্রবেশ করলে এই জীবাণু দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁছে শারীরিক সমস্যা বাড়াতে থাকে৷
আরও পড়ুন: গল্প নয় জলজ্যান্ত সত্যি, আস্ত সাপ গিলে খাচ্ছে ব্যাঙ! ভিডিও দেখলে চোখ কপালে উঠবে
অ্যামোবিক মেনিনগোএনসেফালাইটিস-এর উপসর্গ
জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, ঘাড় শক্ত হয়ে আসা, মাথা ঘোরানো৷
কেরল সরকারের সতর্কবার্তা
অপরিষ্কার পুকুর বা জলাশয়ে স্নান না করা৷
সুইমিং পুলগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা৷
নাক দিয়ে জল কোনও কারণে শরীরে প্রবেশ করলে তা যাতে পরিশুদ্ধ এবং পরিষ্কার হয়, তা নিশ্চিত করা৷
বাড়ির ট্যাঙ্ক, কুয়ো পরিষ্কার করা, জীবাণুমুক্ত রাখা৷