কেএমআরসিএলের বিশেষজ্ঞদের মত নেওয়ার পরই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে ওই দুটি বাড়ি আংশিকভাবে ভাঙার কাজ শুরু হবে।
বউবাজার থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের দায়িত্বে থাকা আইটিডি-র প্রজেক্ট ডিরেক্টর রূপক সরকার জানিয়েছেন, সোমবার সকাল ১১ টা থেকে ১৬ ও ১৬/১ এই দুটি বাড়ির আংশিক (বিপদজ্জনক) অংশ ভাঙার কাজ শুরু করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- কেউ কাজ দিচ্ছে না, হাতের কাজও করা অসম্ভব ,জোড়া সমস্যায় দুর্গা পিতুরির কারিগররা
এই ভাঙার কাজ করতে গিয়ে যদি দেখা যায় বাড়িগুলির বাকি অংশ ভেঙে ফেলার প্রয়োজন রয়েছে, তা হলে ভেঙে ফেলা হবে। এছাড়া এই দুটি বাড়ির পাশেই রয়েছে কলকাতা পুরসভার ঘোষিত বিপজ্জনক বাড়ি। যে বাড়ি কেএমসি-র তরফে ভাঙার কথা ছিল, কোনও কারণবশত এখনও ভাঙা হয়নি। পুরসভা অনুমতি দিলে সেটি ভেঙে ফেলবে কেএমআরসিএল।
১৫ নম্বর বাড়িটির একটা অংশ জুড়ে আছে ১৪ নম্বর বাড়ির সঙ্গে। তাই আশঙ্কা ওই বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পরিস্থিতি যা তাতে বিপদ এড়াতেই আংশিকভাবে ভাঙার কাজ শুরু করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেএমআরসিএলের এমডি চন্দ্রনাথ ঝাঁ।
একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, অন্যান্য বাড়িগুলির ক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টরা দেখে বিবেচনা করে জানালে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে কেন বার বার ভূগর্ভে কাজ করার সময় বিপর্যয় ঘটছে, সেই বিষয়টি দেখবেন আইআইটি রুরকির বিশেষজ্ঞ দল। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে ১৬ ও ১৬/১- এই দুটি বাড়ির বাসিন্দাদের নোটিস ইস্যু করে সোমবার সকালে বাড়ি খালি করে দিতে বলা হবে।
অন্যদিকে কোন বাড়ি কতখানি ভাঙা পড়বে তা নিয়ে কার্যত নাটক চলে। শনিবার বিকেলে প্রথমে কাউন্সিলরকে ফোন করে জানানো হয়েছিল ওই সন্ধ্যা থেকেই তিনটি বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করতে চায় কেএমআরসিএল। পরে জানানো হয়, একটি বাড়ির আংশিক ভাঙা হবে। সেই সিদ্ধান্তও বদলে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে। টানাপোড়েন চলতেই থাকে।
আরও পড়ুন- জমিতে মোবাইল টাওয়ার বসানোর টোপ! লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ শহরের কলসেন্টারের
ঘটনাস্থলে আসেন কেএমআরসিএলের জিএম এ কে নন্দী। জানানো হয় রবিবার ১৬ নম্বর বাড়ির কতখানি ভাঙা হবে তা সিদ্ধান্ত হবে। পরে রবিবার এলাকাবাসীর সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানেও একপ্রস্থ আলোচনা হয় কোন বাড়ি কতখানি ভাঙার কাজ শুরু হবে।
শেষমেশ জানানো হয় ১৬ ও ১৬/১ এর (বিপজ্জনক অংশ) আংশিক ভাবে ভাঙার কাজ শুরু হবে।