এর আগে ২০১৯-এর ৩১ অগাস্টের পর ২০২২ মাসের ১১ মে মেট্রোর কাজের জন্য ভেঙে যায় বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের একাধিক বাসিন্দাদের বাড়ি। এক মুহূর্তে আচমকা মাথার ছাদ সরে যায়। ধাক্কা লাগে রুটিরুজিতে। নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে চলে যেতে হয় অন্যত্র। প্রথম পর্যায়ে সেই রকমই ১৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর হাতে প্রথম দফার আর্থিক সাহায্য তুলে দেয় কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন বা KMRCL কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন : হেলমেট ব্যবহার না করলে জরিমানা ৬০০০! সোশ্যাল কাঁপিয়ে এবার নয়া 'স্লোগান' শুভেন্দুর
আরও পড়ুন : ভালোবাসার আগুনে সব খারাপ পুড়ে ছাই হবে, ঐন্দ্রিলা ফের ফিরবে ময়দানে, বিশ্বাস আকাশ বাতাসের
কিন্তু বিপর্যয় যেন পিছু ছাড়ছে না বউবাজারের। ক্রস প্যাসেজ বানানোর সময়, ফের ফাটল ধরল একাধিক বাড়িতে। এই অবস্থায়, বিকল্প হিসেবে, ভেন্টিলেশন Shaft-এর কথা ভাবছে, KMRCL কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে পরামর্শের জন্য, দিল্লি থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। গত মাসে বউবাজারে মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফের ফাটল ধরা পড়ে। একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ তাদের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ব্যবসা চালাতেও অসুবিধা হচ্ছে। এই অবস্থায় বউবাজারের ক্যাম্প অফিসে বিক্ষোভ দেখান বউবাজারের বাসিন্দারা। তাদের মধ্যে নবনীতা বড়ুয়া বলে একজন জানিয়েছেন, "নোটিশ দিয়ে কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়া হবে। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। এখন দেখা করতে আসলেও আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা বিভিন্ন পর্যায়ের জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা ছিল। এর পাশাপাশি স্থানীয়দের অভিযোগ বাড়ি সারানোর কাজ যথাযথ ভাবে করা হচ্ছে না। কেএম আরসিএল অবশ্য অভিযোগ মানতে নারাজ, তাদের বক্তব্য সবার আবেদন যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পরেই ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন সকলে।