অন্যদিকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে কাজ নিয়েও একটা জটিলতা তৈরি হয়।সেখানে ইভাকুয়েশন শ্যাফট বানাচ্ছিল মেট্রো। আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেখান দিয়ে আর যাত্রী ওঠানামা করানো হবে না। শুধু বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। পরিবর্তে বউবাজারে দূর্গা পিতুরী লেনের কাছে নেওয়া হচ্ছে ১৪৪০ স্কোয়্যার ফিট জায়গা। সেখান দিয়েই যাত্রী ওঠানামা করবে। প্রসঙ্গত, মেট্রোর দুটি স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব ২ কিমি বেশি হলে মাঝে ইভাকুয়েশন শ্যাফট করতে হয়। এছাড়া ২৫০ মিটার অন্তর অন্তর বানাতে হয় ক্রস প্যাসাজ। যেহেতু ১,২,৩ নম্বর ক্রস প্যাসাজ হবে না।তাই বউবাজারেই হবে নয়া ইভাকুয়েশন শ্যাফট ৷
advertisement
আরও পড়ুন- মার্চ মাসে আসতে চলেছে নানা উত্থান-পতন! কেমন কাটবে রাশিচক্রের সমস্ত রাশির জাতক-জাতিকাদের?
নিরাপত্তার ক্রস প্যাসেজেই মরণফাঁদ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জোড়া সুড়ঙ্গের কোনও একটায় কোনও রকম বিপত্তি ঘটলে যাত্রীদের যাতে দ্রুত বার করে আনা সম্ভব হয়, তার জন্য দুই সুড়ঙ্গের মধ্যে এমন ক্রস প্যাসেজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মোট আটটি এমন প্যাসেজের মধ্যে তিনটি প্যাসেজ তৈরিতেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি ছিল। এর মধ্যে তিনটি প্যাসেজ নিয়ে সবচেয়ে চিন্তায় ছিলেন কেএমআরসিএল-এর প্রযুক্তিবিদরা।
শিয়ালদহের দিক থেকে এগোলে সিপি-ওয়ান তৈরির কথা ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছে, মদন দত্ত লেনের নীচে সিপি-টু তৈরি করতে গিয়েই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সিপি-থ্রি তৈরি করার কথা হিন্দ সিনেমার কাছে ভূগর্ভে। কেএমআরসিএল-এর প্রযুক্তিবিদদের কয়েকজন জানাচ্ছেন, ওয়েলিংটন স্কোয়্যার থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত অংশে ভূগর্ভস্থ মাটির অবস্থা খুব সুবিধার নয়। খুব অল্প জায়গার মধ্যে নানা ধরনের মাটি এই অঞ্চলে মিশে রয়েছে। এর মধ্যে বেলেমাটির পরিমাণই সর্বাধিক। মাত্র দেড় মিটার বা সাড়ে চার ফুট খুঁড়লেই বেরিয়ে আসে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর।