বর্ষা শেষ হলেই বাগানের মালিদের চরম ব্যস্ততা দেখা যায়। এ বারও ব্যতিক্রম হয়নি। প্রতিবছর শীতে বাগান সেজে উঠে শীতের বাহারি ফুলে। বি গার্ডেনে চেনা অচেনা হাজারো গাছ। শান্ত পরিবেশ পাখিদের কলরব। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের জন্য নেচার ট্রেইল। সব মিলিয়ে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের মন ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট করে এই উদ্ভিদ উদ্যান।
advertisement
বি গার্ডেন মানেই ঐতিহাসিক সেই বটগাছ। পর্যটকদের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রে প্রকাণ্ড বটগাছ। সঙ্গে গোলাপবাগান এবং অ্যাকোয়াটিক প্ল্যান্ট তো রয়েইছে। তবে এ বারও আরও আকর্ষণ বাড়তে চলেছে বোটিং এবং ক্যাফেটেরিয়া পরিষেবা। বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর বর্ষা শেষে বাগান পরিচর্যার পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়াতে নতুন করে সিজন ফুলের গাছ লাগানো হয় বাগানের বিভিন্ন স্থানে।
আরও পড়ুন : মুম্বই ছেড়ে রওনা হওয়ার মুখে শাহরুখ খানের এ কী অভিজ্ঞতা! দেখুন ভাইরাল ভিডিও…
সারা বছরে ডিসেম্বর – জানুয়ারিতে সর্বাধিক পর্যটক আসেন। সেই মতো বাগান গোছানোর কাজ তো চলছেই। তবে পর্যটকদের জন্য সুখবর, বি গার্ডেনে মিলতে পারে বোটিং ও খাওয়াদাওয়ার সুযোগ। বোটানিক্যাল গার্ডেন প্লাস্টিকমুক্ত জোন। সেই দিক থেকে যাতে বাইরের খাবার বা প্লাস্টিক কোনও ভাবে না আসে, সেটা দেখা হবে। একই সঙ্গে খাবারের সুবিধা পেলে আরও বেশি করে আকৃষ্ট হবেন পর্যটক। উভয় দিকে গুরুত্ব রেখেই কর্তপক্ষের এই উদ্যোগ।
বোটিং এবং ক্যাফেটেরিয়ার পরিষেবা চালু করতে কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। সূত্র থেকে জানা যায়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত মিললে এই শীতের মরশুম থেকে বোটিং এবং ক্যাফেটেরিয়া পরিষেবা পাবেন পর্যটকরা। এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট ডাইরেক্টর ডা: দেবন্দ্র সিং জানান, ‘‘ পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে বোটিং এবং ক্যাফেটেরিয়া পরিষেবার কাজ চলছে। পাশাপাশি গার্ডেনে পর্যটকদের সুবিধার্থে ইলেকট্রিক যান চলাচলের পরিকল্পনাও চলছে।’’