এরপর তারা সেই পাঁচ লিটার পেট্রোল নিয়ে আসে বগুটুই গ্রামে। গ্রামে এসে তারা অভিযুক্ত রাসটন শেখ ও জাহাঙ্গীর শেখকে ৫ লিটার পেট্রোল দিয়ে দেয় সোনা শেখের বাড়ি জ্বালানোর জন্য।ওই ৫ লিটার পেট্রোল দিয়ে এরপর সোনা শেখের বাড়ি ( যে বাড়ি থেকে ৭ জনের দেহ মেলে ) জ্বালিয়ে দেয়, উল্লেখ চার্জশিটে। যার পরিণামে জীবন্ত পুরে মরতে হয় ৭ জনকে। মৃতের মোট সংখ্যা পরবর্তী কালে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ জন । অর্থাৎ পেট্রোল দিয়ে অভিযুক্তরা বগুটুই গ্রামে বাড়ি জ্বালিয়েছিল তার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।
advertisement
সিবিআই সূত্রে খবর, আনারুল ভাদু খুনের পর হাসপাতালে যান রাত নটা তিন মিনিটে। সেখানে জমায়েতকারীদের উস্কানি দিয়ে বগুটুইতে পাঠান। ভাদু খুনের প্রতিহিংসা নেওয়ার জন্য বগুটুইতে জমায়েতকারীদের পাঠায় সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ। চার্জশিটে আরও উল্লেখ, ঘটনার দিন দাউ দাউ করে যখন গ্রামে আগুন জ্বলছিল তখন আনারুলের সঙ্গে গ্রামেরএক প্রত্যক্ষদর্শী বাসিন্দা সাহায্য জন্য ফোন করেন। আনারুলের ফোনে তাদের কথোপকথনে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: 'ঘটিবাটি সবই যাবে...' বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! নিশানা করলেন কাকে? তীব্র আলোড়ন
সিবিআই সূত্রে খবর, আনারুল ওই গ্রামবাসীকে বলেন, "ভাদু খুনের রিভেঞ্জ জন্য সোনা সেখের (যে বাড়িতে 7 জনের অগ্নি দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় ) বাড়ি জ্বলতে দাও। সোনা সেখের আত্মীয়দের বাড়ি পুড়তে দাও। আনারুল বলেন, পুলিশকে জানাবে না। পুলিশকে বগুটুই গ্রামে পাঠাবে না। ভাদু খুনের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই ঘটনা ঘটছে উল্লেখ রয়েছে চার্জেসিটে । অন্যদিকে, গ্রামের এক প্রত্যক্ষ দর্শী সিবিআইকে দেওয়া বয়ানেও চঞ্চল্যকর তথ্য উল্লেখ।
সিবিআই সূত্রে খবর, "ঘটনার সময় লালন চিৎকার করে বলছিল পুলিশ আসবে না এক ঘন্টা জন্য। তার মধ্যে মেরে ফেলতে হবে।" উল্লেখ রয়েছে চার্জেসিটে। অভিযুক্ত লালন জমায়েতকারীদের উস্কানি দেয়, ফটিক ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার জন্য। ফটিকের বাড়িতে ঢুকে জমায়েতকারীরা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে।
এমনকি ফটিককে অন্ধকারে না দেখতে পেয়ে ফটিকের স্ত্রীকে হত্যা করে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় "উল্লেখ রয়েছে চার্জেসিটে।বগুটুই গ্রামে সোনা সেখের পরিবারকে হত্যার জন্য মুনসুবা পেট্রোল পাম্প থেকে দুটি জারে করে পাঁচ লিটার পেট্রোল কিনে এনেছিল অভিযুক্তরা। সেই প্রমান মিলেছে সিবিআইয়ের চার্জেসিটে তার উল্লেখ রয়েছে।