TRENDING:

পরিবারের সদস্যের জীবন বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি অন্যদের জীবন বাঁচাতেও রক্তদান শিবিরের ব্যতিক্রমী ভাবনা মুখোপাধ্যায় পরিবারের

Last Updated:

Blood Donation: সেই ১৯৯১ সাল থেকে নিয়মিত আজও সেই মুখোপাধ্যায় পরিবারের উদ্যোগে নিজেদের বাড়িতেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়ে আসছে। বছরে দু’বার ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন’- বলেছিলেন ডাক্তার বাবুরা । সালটা ১৯৮৯ – ৯০ । এদিক ওদিক করে একটা বছর চালিয়ে দিলেও পরের দিনগুলোর কথা ভেবে নিজেরাই রক্তদান শিবির করার চিন্তা ভাবনা শুরু করেন উত্তরপল্লী সোদপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবার। সেই ১৯৯১ সাল থেকে নিয়মিত আজও সেই মুখোপাধ্যায় পরিবারের উদ্যোগে নিজেদের বাড়িতেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়ে আসছে। বছরে দু’বার ।
পরিবারের সদস্যের জীবন বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি অন্যদের জীবন বাঁচাতেও রক্তদান শিবিরের ব্যতিক্রমী ভাবনা মুখোপাধ্যায় পরিবারের
পরিবারের সদস্যের জীবন বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি অন্যদের জীবন বাঁচাতেও রক্তদান শিবিরের ব্যতিক্রমী ভাবনা মুখোপাধ্যায় পরিবারের
advertisement

একবার গ্রীষ্ম ও একবার শীতে। প্রথমদিকে ডোনারের সংখ্যা কম থাকলেও পরের বছরগুলো থেকে রক্তদাতাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। পারিবারিক রক্তদান শিবিরের প্রথম দিকে শিবির পরিচালনার দায়িত্বে থাকতেন অনঙ্গ মুখোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়ে তাঁর পুত্র মুরারী মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী রূপা মুখোপাধ্যায় পারিবারিক রক্তদান শিবির পরিচালনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। তবে শুধু তিনিই নন, সোদপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সবার সক্রিয় অংশগ্রহণে ধীরে ধীরে এই রক্তদান শিবিরের উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসতে থাকে।

advertisement

আরও পড়ুন– আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে চাকরিপ্রার্থীরা, আন্দোলনকারীদের নিয়োগ হবে? নজরে বিকাশ ভবনের বৈঠক

পরিবারের অন্যতম সদস্য মুরারী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘থ্যালাসেমিয়া রোগী আমার ভাইপো সৌভিকের চিকিৎসার প্রয়োজনে আমাদের পারিবারিক রক্তদান শিবির থেকে সংগৃহীত রক্ত সৌভিকের প্রয়োজনের পরেও ব্লাড ডোনার কার্ড উদ্বৃত্ত হতে শুরু করে। তখনই আমরা পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত নিই যে, একটিও সেই কার্ড নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।’’

advertisement

রক্তদান শিবির আয়োজক পরিবারের তরফে নানাভাবে প্রচার শুরু করে অনেক মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচিয়েছে আজ মুখোপাধ্যায় পরিবার। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অসহায় পরিবার সেই ডোনার কার্ড ব্যবহার করায় অনেক পরিবারের মুখেই নিয়মিত হাসি ফুটিয়ে চলেছে মুখোপাধ্যায় পরিবার। রবিবার এরকমই এক পারিবারিক রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হল সোদপুরের মুখোপাধ্যায় বাড়িতে। যে শিবির এখন রক্তদান উৎসবে পরিণত হয়েছে। কোভিডের সময়েও এই শিবির বন্ধ থাকে নি। নিয়ম করে বছরে দুবার আজও সেই রক্তদান মহান দানের আয়োজন করে আসছে মুখোপাধ্যায় পরিবার।

advertisement

আরও পড়ুন– জেলায় জেলায় শীতের স্পেল, কলকাতায় ১৫ ডিগ্রির ঘরে নামল পারদ, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

কোভিডের সময় কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে গোটা দেশ। আমাদের রাজ্যও। সেই সময়েও চলেছে সরকারি নিয়ম মেনে বাসের মধ্যে মুখোপাধ্যায় পরিবারের পারিবারিক ব্লাড ক্যাম্প। রবিবার ৩২ বছর পার করল মুখোপাধ্যায় পরিবারের পারিবারিক রক্তদান শিবির। যে শিবিরে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আশপাশের এলাকা থেকেও বহু রক্তদাতা মহানদানে সামিল হন। বছরে দুটো ক্যাম্প মিলিয়ে প্রায় ২২৫ থেকে ২৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। গড়ে প্রায় ১৫০ জনকে প্রতি বছর ব্লাড ডোনার কার্ড দিয়ে অন্যের জীবন বাঁচিয়ে এক প্রকার আত্মার বন্ধনে বেঁধে নজির গড়েছে মুখোপাধ্যায় পরিবার। ৬০ থেকে ৬৫টি ডোনার কার্ড পরিবারের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সৌভিকের জন্য রেখে বাকিটা পুরোটাই মানব সেবার কাজে ব্রতী হয়েছে সোদপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবার। যত কষ্টই হোক, আগামীতেও এই কাজ করে যেতে চাই, শুধু ভালবাসা ও বন্ধনের তাগিদে। এই অঙ্গীকার নিয়েছে সোদপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবার।

advertisement

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
পরিবারের সদস্যের জীবন বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি অন্যদের জীবন বাঁচাতেও রক্তদান শিবিরের ব্যতিক্রমী ভাবনা মুখোপাধ্যায় পরিবারের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল