দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, "আজকে আমাদের পার্টির তরফ থেকে একসঙ্গে ৮০ জায়গায় প্রচার করা হবে।সমস্ত নেতাকর্মী জনপ্রতিনিধিরা নামছে।সাধারণ মানুষের সঙ্গে গিয়ে লিফলেট দেওয়া বাড়ি বাড়ি যাওয়া যেভাবে শুরু করেছিলাম সেই ভাবেই প্রচার হবে আজকে ।আমরা সবাই আজকে নামছি। "
কিন্তু ভবানীপুরের লড়াই তো অসম, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। দিলীপ ঘোষ সেসব তত্ত্ব কানে তুলতে নারাজ। বললেন, "কোন দিকে মার্জিন কার বাড়বে কার কমবে সেটা তো ৩ তারিখ বোঝা যাবে। সাধারণ মানুষের ওপর ভরসা আছে আমাদের তারা বার বার সংকেত দেন তারা পরিবর্তন করেন।পশ্চিমবাংলার মানুষ যথেষ্ট রাজনীতি সচেতন পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের বিশ্বাস আছে ।"
advertisement
আরও পড়ুন-৭০ ও ৭৪-এ জোর! শেষ প্রচারে মিলল তো অঙ্ক? ভবানীপুরে টার্গেট পূরণ TMC-র
পাল্টা প্রশ্ন ওঠে, সে তো ২০০ আসনের কথা বিজেপি বলেছিল আগে। কিন্তু আসন এসে ঠেকেছে ৭৭-এ। দিলীপ ঘোষ অঙ্কটা অন্য ভাবে কষতে চান। ২০০ বলে ৭৭ নয়, তাঁর যুক্তি ৩ থেকে ৭৭-এ এক উত্থান। আজ তিনি বলছিলেন, "বাংলার মানুষ যেমন বিধানসভাতে বিজেপিকে তিন থেকে ৭৭এ নিয়ে এসেছেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের হিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। হয়তো তারা মেজরিটি পেয়েছেন কিন্তু তার পার্টির নেতৃত্ব হেরেছেন ,যার নামে ভোট হচ্ছিল।বোঝাই যাচ্ছে বাংলার মানুষ কি চায়।আমার মনে হয় সেইদিকে যাবে ফলাফল।"
অর্থাৎ দিলীপ আশাবাদী রাজনীতিতে নবাগতা প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর নিজের আসনেই হারিয়ে দিতে পারবেন। তৃণমূলের যুক্তি দিলীপ ঘোষ নেহাতই কথার কথা বলছেন। তাঁদের কথায়, যদি এমনই ফল হবে তবে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো তারকা প্রচারকরা প্রচারেই এলেন না কেন! কেন দিলীপ ঘোষই বা এত পড়ে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন!
রিপোর্টার- অনুপ চক্রবর্তী