Bhabanipur By Poll | Tmc Campaign: ৭০ ও ৭৪-এ জোর! শেষ প্রচারে মিলল তো অঙ্ক? ভবানীপুরে টার্গেট পূরণ TMC-র

Last Updated:

Bhabanipur By Poll | Tmc Campaign: ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের লক্ষ্য শেষ প্রচারে অঙ্ক মেলানো আর মিনি ইন্ডিয়ার তত্ত্ব।

ভবানীপুরে শেষ বেলার প্রচার...
ভবানীপুরে শেষ বেলার প্রচার...
#কলকাতা: প্রচারের শেষ লগ্নে, অঙ্ক মেলানোর পালা। সব জায়গায় পৌছানো গেল তো! সব বাড়িতে একটিবার ভোট চাওয়া হল তো! আর এর বেশিরভাগটা জুড়েই থাকল ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড। এই দুই জায়গাতেই পিছিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আর এই দুই জায়গাতেই তাই শেষ প্রচারে সবাই একবার করে ঢুঁ মেরে গেলেন।ভবানীপুর, মিনি ইন্ডিয়া। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ড জুড়ে থাকেন একাধিক ভাষার মানুষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে থাকেন এখানে। আর এই ভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার।
মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেই বলেছেন, আসল চ্যালেঞ্জ ২০২৪ সাল। ফলে ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন (Bhabanipur By Poll) থেকেই মানুষের মন বুঝে নিতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। একই সাথে সামনেই রয়েছে পুরসভা ভোট। নাগরিকদের কাছে বা 'মিনি ইন্ডিয়া'র (Mini India) কাছে পুরসভা ভোটের আগেই এখন থেকে বার্তা পৌছে দেবে তৃণমূল। তাই আট ওয়ার্ডে পাঁচ নেতার সাথে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীদের জুড়ে দেওয়া হয়েছিল নজরদারির জন্যে।
advertisement
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, ভবানীপুর বিধানসভার ভোট-তত্ত্ব---
advertisement
২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে জিতে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তিনি ছিলেন সাংসদ। ফলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর  উপনির্বাচনে লড়তে হয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। ভবানীপুর কেন্দ্রটিকেই বেছে নিয়েছিলেন মমতা। প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। সেই বার মমতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পান ৭৩,৬৩৫ ভোট। আর নন্দিনী মুখোপাধ্যায় পান ১৯,৪২২ ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে জয়ী হন। মমতা ভোট পেয়েছিলেন ৭৭.৪৬ শতাংশ। সিপিএমের ঝুলিতে যায়  মাত্র ২০.৪৩ শতাংশ ভোট। ২০১৬-তেও ভবানীপুরেই ভরসা ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও এই কেন্দ্রেই প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার তিনি পেয়েছিলেন ৬৫ হাজার ৫২০ ভোট। শতকরা হিসেবে ৪৮.‌৫৩ শতাংশ। কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ছিলেন দীপা দাশমুন্সি। তাঁকে ২৫ হাজার ৩০১ ভোটে হারিয়েছিলেন মমতা।  দীপা দাশমুন্সি পেয়েছিলেন  ৪০,২১৯টি ভোট। বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রকুমার বসু। তিনি পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ২৯৯ ভোট। শতকরা হিসেবে ১৯.‌৪৮ শতাংশ। বিজেপির ভোট প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছিল।
advertisement
২০২১-এর বিধানসভা ভোটে প্রথমে ভবানীপুর ও নন্দীগ্রাম উভয় কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে শুধু নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন তিনি। তাঁর জায়গায় ভবানীপুর থেকে তৃণমূল দাঁড় করায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। শোভনদেব পান মোট  ৭৩ হাজার ৫০৫ ভোট। একুশের ভোটে এই কেন্দ্রে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। তবে রুদ্রর ঝুলিতে যায়  ৪৪,৭৮৬ ভোট। শোভনবাবু  রুদ্রনীলকে হারান প্রায় ২৮ হাজারের কাছাকাছি ভোটে। সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী কংগ্রেসের সাদাব খান পান মাত্র ৫২১১ ভোট। তৃণমূল এখানে পায় ৫৭.৭১ শতাংশ ভোট। বিজেপি পায় ৩৫.১৬ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেস পায় মাত্র ৪.০৯ শতাংশ ভোট।
advertisement
২০১৪ সালে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী। বিধানসভাওয়াড়ি ফলাফলে ভবানীপুরে বিজেপির থেকে ১৭৬ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন সুব্রত। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেস পেয়েছিল ১৫,৪৮৪ ভোট। সিপিএম ২১,৯৫৪ ভোট। তৃণমূল ৪৭,২৮০ ও এবং বিজেপি ৪৭,৪৫৬টি ভোট।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। দক্ষিণ কলকাতায় লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হন মালা রায়। ভবানীপুরে কড়া টক্কর দেয় বিজেপি। বাম ও কংগ্রেস জোট ১৩ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিল।  তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও বিজেপির ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ৩ হাজার ১৬৮। তবে পুরসভার ওয়ার্ড বিচারে তৃণমূলের নজরে ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড। যেখানে বহু গুজরাতি ভোটার রয়েছেন। 'মিনি ইন্ডিয়ার' ভোট থেকে তাই শুরু হয়ে যাচ্ছে কলকাতা পুরসভার মাপকাঠি বুঝে নেওয়া। তাই খাতায় কলমে আজ থেকে শুরু অঙ্ক মেলানোর কাজ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Bhabanipur By Poll | Tmc Campaign: ৭০ ও ৭৪-এ জোর! শেষ প্রচারে মিলল তো অঙ্ক? ভবানীপুরে টার্গেট পূরণ TMC-র
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement