তিনি যত বড়ই নেতা হন না কেন নিয়ম সবার ক্ষেত্রে এক। ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। যারাই শিবিরে অংশ নেবেন তাঁদের প্রত্যেককেই সকালে উঠেই যোগাভ্যাস করতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে গাইতে হবে দেশাত্মবোধক গান। আজ, সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিজেপির এই প্রশিক্ষণ শিবিরে খাওয়া দাওয়ার নিয়মেও রয়েছে দলের কড়া অনুশাসন। দলীয় সূত্রের খবর, ভোজনমন্ত্র উচ্চারণের পরেই মিলবে খাওয়া-দাওয়াার অনুমতি। এইরকম একাধিক নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়েই বিজেপির এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন- ছাত্র সমাবেশ মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? রাজনৈতিক মহলের নজর সেদিকেই
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভাবধারায় চলা বিজেপির এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির গোটা দেশেই একই নিয়ম মেনে হয়। পর্যায়ক্রমে একের পর এক বিষয় ভিত্তিক পাঠ দেন নেতৃত্ব। তবে শুধুমাত্র লেখাপড়া করাই নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে নানান বিষয়ে ঠাসা কর্মসূচি পালন করা হয়। একেবারে শেষ দিন হয় শপথ গ্রহণ। যেখানে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের আদর্শ, নিষ্ঠা মেনে দলীয় কাজ করার শপথ নিতে হয়। একজন আদর্শবান নেতা তৈরি করার লক্ষ্যেই দেওয়া হয় পাঠ।
আরও পড়ুন- রাশিফল ২৯ অগাস্ট; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
আজ, সোমবার থেকে টানা তিন দিন বৈদিক ভিলেজে হবে বঙ্গ বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির। এই শিবিরে রাজনীতি সহ নানান বিষয়ে পাঠ দেবেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব । এ রাজ্যের সদ্য নিযুক্ত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সংগঠন সতীশ ধন্ড, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ, অমিত মালভিয়া -সহ অন্যান্য নেতৃত্বও হাজির থাকবেন।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মোদি সরকারের প্রকল্পের প্রচার কীভাবে করতে হবে, বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় কীভাবে বাড়াতে হবে, জনসংযোগে জোর দেওয়ারও পাঠ দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ শিবিরে। বুথস্তরে কীভাবে সংগঠন বাড়ানো যায় তার দাওয়াইও দেওয়া হবে। শিবিরে উপস্থিত রাজ্য স্তরের প্রায় সমস্ত নেতাদেরই দলের ইতিহাস ও আদর্শের পাঠও দেওয়া হবে এই শিবিরে।