এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা করার জন্য মন্ত্রীর গাড়ি ভেঙে ইচ্ছে করে ‘নাটক’ করছে তৃণমূল কংগ্রেস।” ‘আন্দোলন কালীঘাট পর্যন্ত যাবে’ বলেও তুমুল হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুড়মি সমাজকে ক্লিন চিট দিয়ে বলেছিলেন, “কুড়মি সম্প্রদায় নয়, কনভয়ে হামলার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি বিজেপির যোগ রয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের বিয়েবাড়িতে মায়ের কোল থেকে শিশু চুরি! অবাক করা পদ্ধতি, সাবধান হন আজই
যদিও আগেই সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নবজোয়ার কর্মসূচিতে ঝাড়গ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা এবং অভিষেকের কর্মসূচির মাঝে বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে হামলা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয় রাজ্য রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল কুড়মি সম্প্রদায়। সেই সময় অভিষেকের কনভয় গড় শালবনি এলাকায় যাওয়ার পথে বিক্ষোভ বাড়ে। এমনকি নেতার কনভয়ে হামলারও অভিযোগ উঠে। অন্যদিকে, অভিষেকের কনভয় বেরিয়ে যাওয়ার পর কনভয়ে থাকা আদিবাসী নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ইট এসে পড়ে। যাতে মন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। আহত হন গাড়ির চালক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সভায় বলেছিলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমার কুড়মি ভাইয়েরা একাজ করতে পারে না।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমি মনে করি, কুড়মিদের নাম করে এই অত্যাচার করেছে বিজেপি।” আর এ বার কনভয় কাণ্ড তৃণমূল কংগ্রেসের ‘গেম প্ল্যান’ আখ্যা দিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মঙ্গলবার বিজেপির সল্টলেক দফতরে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ নতুন বোমা ফাটালেন।
Venkateswar Lahiri